ঝাড়গ্রাম

ভারী বৃষ্টি হলেই ডুলুং নদীর কজওয়ে ডুবে বিচ্ছিন্ন জামবনি ব্লকের দু’প্রান্ত, সেতু না হওয়ায় ক্ষোভ

স্বপ্নীল মজুমদার

ভারী বৃষ্টি হলেই ডুলুং নদীর কজওয়ে ডুবে বিচ্ছিন্ন জামবনি ব্লকের দু’প্রান্ত, সেতু না হওয়ায় ক্ষোভ - West Bengal News 24

জামবনি: পূর্ত দফতরের তরফে সমীক্ষা হলেও ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের চিল্কিগড়ে ডুলুং নদীতে সেতু তৈরির কোনও উদ্যোগ এখনও নেওয়া হয়নি।

রাজ্যে তৃণমূলের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ঝাড়গ্রাম জেলায় নয়াগ্রাম ও লালগড়ে দু’টি বড় সেতু তৈরি হওয়ায় দীর্ঘদিনের যোগাযোগ সমস্যা মিটেছে।

অথচ জামবনির চিল্কিগড়ে ডুলুং নদীর উপর উঁচু সেতু এখনও হয়নি। কজওয়ে পেরিয়ে যানবাহন চলে। আপাত শান্ত ছোট্ট ডুলুং নদীটি কিন্তু ভারী বৃষ্টি হলেই ভয়াল রূপ নেয়। ৯০ মিটার লম্বা কজওয়ে ছাপিয়ে তখন প্রবল স্রোতে জল বইতে থাকলে ব্লক সদর গিধনির সঙ্গে জামবনি থানার বিস্তীর্ণ অংশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

আরও পড়ুন : তৃণমূল নেতাকে খুনের চেষ্টা, অভিযুক্ত বিজেপির প্রধান

ডুলুংয়ের পূর্ব প্রান্তে রয়েছে জামবনি থানা এবং ৩৫ টি গ্রাম। পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে ৭৫টি গ্রাম, চিল্কিগড় গ্রামীণ হাসপাতাল এবং গিধনিতে রয়েছে জামবনির বিডিও অফিস। ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতর, স্কুল, ব্যাঙ্ক সবই পশ্চিম প্রান্তে। অথচ চিল্কিগড়ে ডুলুং নদীর উপরে সেতুর দাবিটি আজও উপেক্ষিত। হড়পা বাণের সময়ে কজওয়ে পেরোতে গিয়ে বহু দুর্ঘটনা ও প্রাণহানিও ঘটেছে। চিল্কিগড়ে রয়েছে জেলার পর্যটনস্থল কনকঅরণ্য ও চিল্কিগড় রাজ পরিবারের আরাধ্যদেবী কনকদুর্গার শতাব্দী প্রাচীন মন্দির।

সারা বছর বহু পর্যটক ও দর্শনার্থী সেখানে যান। ঝাড়গ্রাম থেকে জামবনি হয়ে নদীর পূর্বপ্রান্তে মন্দির ও কনক অরণ্য পর্যন্ত সহজে যাওয়া যায়। কিন্তু চিল্কিগড় রাজবাড়িটি রয়েছে নদীর অপর পাড়ে পশ্চিম প্রান্তে। ফলে কজওয়ে ছাপিয়ে নদীর জল উঠে গেলে রাজবাড়ি না দেখেই হতাশ হয়ে ফিরতে হয় পর্যটকদের। আবার জামবনি থানা ও ব্লক সদর গিধনির মাঝে চিল্কিগড়ে ডুলুং নদীটি থাকায় কজওয়ে ডুবে গেলে দু’প্রান্তের অসংখ্য গ্রামবাসী সমস্যায় পড়েন।

পূর্ত দফতরের ঝাড়গ্রাম জেলার একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রবীন্দ্রনাথ দে বলেন, ‘‘সেতুর জন্য দু’বার সমীক্ষা করা হয়েছে। বিষয়টি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।’’

আরও পড়ুন ::

Back to top button