ঝাড়গ্রাম

ঝাড়গ্রাম পুরভোটে বামফ্রন্টের ইস্তাহারে গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি

স্বপ্নীল মজুমদার

ঝাড়গ্রাম পুরভোটে বামফ্রন্টের ইস্তাহারে গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি - West Bengal News 24

ঝাড়গ্রাম: আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ঝাড়গ্রাম পুরভোট। ভোটের ছ’দিন আগে রবিবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম পুর নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করল ঝাড়গ্রাম জেলা বামফ্রন্ট।

এদিন সিপিএমের জেলা কার্যালয়ে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেন শহর বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপকুমার সরকার। ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পার্থ যাদব ও প্রশান্ত দাস, জেলা সিপিএমের প্রবীণ নেতা নভেন্দু হোতা, সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক মনোরঞ্জন ঘোষ, সিপিআইয়ের দুই জেলা সহ-সম্পাদক বিকাশ ষড়ঙ্গী ও অসীম রায়।

বামেদের ইস্তাহারে ২৩ দফা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অরণ্যশহরে পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে সবুজায়ন, শহরের রাস্তাঘাট ও নিকাশির উন্নয়ন, বাম পুরবোর্ডের আমলে তৈরি শিশু ও বয়স্কদের উদ্যানগুলির সংস্কার ও নতুন উদ্যান তৈরি, উড়ালপুলের তলায় দু’পাশের রাস্তার সঠিক বাস্তবায়ন, কদমকানন রেল ক্রসিংয়ে আন্ডারপাস তৈরির জন্য রেল ও রাজ্য সরকারকে চাপ দেওয়া, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসের আধুনিকীকরণ, ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামটি পুরসভার হেফাজতে এনে খেলাধুলার মানোন্নয়ন, অরণ্যশহরের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পরিকল্পনা কমিটি গঠন, শহরে টোটো সহ সমস্ত পরিবহণের সুবিন্যস্ত পরিকল্পনা ও অটো রুট চালু, ওয়ার্ড কমিটি গুলির তত্ত্বাবধানে পরিকল্পনা রূপায়ণের দায়িত্ব, আধুনিক অডিটোরিয়াম তৈরি, পর্যটন ভিত্তিক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে পরিকল্পনা, বস্তি এলাকায় সমস্ত গরিব মানুষের জন্য বাড়ি, পুর কর, ট্রেড লাইসেন্স ও মিউটেশন ফি-র হার কমানো, জুবিলি বাজার সহ শহরের এলাকায় সুলভ শৌচাগার, বাম আমলে শহরের যে সব রাস্তার নামকরণ হয়েছিল, সেগুলি ঠিকানায় বাধ্যতামূলক করা ও অবশিষ্ট রাস্তার নামকরণ।

আরও পড়ুন :: মায়ের পরিচয়েই শিশুর বার্থ সার্টিফিকেট

প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘আমরা যে সব প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, সেগুলি বাস্তবায়িত করার মত পূর্ব অভিজ্ঞতা ও স্বচ্ছতা আমাদের মধ্যে রয়েছে। ২০১৩ থেকে এ পর্যন্ত ভুক্তভোগী শহরবাসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের পুরবোর্ডের আমল আর এখনকার পরিস্থিতির বিচার করে সিদ্ধান্ত নিন, এটাই আবেদন।’’

১৯৮৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পুরবোর্ডের ক্ষমতায় ছিল সিপিএম ও সিপিআইয়ের মিলিত বাম বোর্ড। ২০১৩ সালের নির্বাচনে পুরবোর্ড দখল করে তৃণমূল। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তৃণমূলের বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। তারপরে পুর প্রশাসনিক বোর্ডের মাধ্যমে পুরসভা পরিচালিত হয়েছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button