নিস্তার নেই। প্রাথমিক টেট মামলায় আপাতত ইডির হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে মানিক ভট্টাচার্যকে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ইডির গ্রেফতারির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ফের সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যের আবেদনের শুনানি। সোমবার এই মামলায় ইডি-র হয়ে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা।
তাঁর দাবি,”সিবিআই তদন্তর থেকে ইডি তদন্ত সম্পূর্ণ আলাদা। ইডি তদন্তে মানি ট্রেল উঠে এসেছে। কিন্তু রাজ্যের সওয়াল ঠিক যেন অভিযুক্তদের মতো। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আরও একদিন সময় চান তিনি। তা মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের দায়ের করার মামলার রায়দান হওয়ার কথা ছিল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানি চলছে এই মামলার। রাজনৈতিক উদ্দেশে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে সিবিআই-এর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন মানিক। ৩০ সেপ্টেম্বর রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। এ দিন সেই মামলারই শুনানি ছিল। যদিও এরই মধ্যে মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি গ্রেফতার করে। ইডি-র বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। কিন্ত শেষরক্ষা হয়নি মানিকের।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রাখে। এরপর হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মানিক ভট্টাচার্য। পুজোর আগে সর্বোচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানির শেষ হয়। তবে রায় ঘোষণা হয়নি। তখনই মানিক ভট্টাচার্যকে অন্তবর্তী রক্ষাকবচ দেয় আদালত। শীর্ষ আদালত তাঁকে রক্ষাকবচ দিলেও তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দেয়। তবে সিবিআই গ্রেফতার না করলেও আর্থিক তছরুপের অভিযোগে ইতিমধ্যে মানিককে গ্রেফতার করেছে ইডি। বর্তমানে তাদের হেফাজতেই রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মানিককে ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট।