বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার সভাপতি পদে সৌরভ গাঙ্গুলীর জায়গায় আনা হয়েছে রজার বিনিকে। উত্তরবঙ্গে সফরের আগে এই নিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হয়ে সওয়াল করলেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
তিনি বলেন, ‘‘আমি সারা বিশ্বের ক্রিকেট প্রেমীদের পক্ষ থেকে বলব, সৌরভ আমাদের গর্ব৷ সৌরভ দক্ষতার সঙ্গে মাঠেও খেলেছে আবার প্রশাসনেও কাজ করেছে৷ ও বিসিসিআই-এর সভাপতি ছিল৷ আদালত একটা অর্ডার দিয়েছিল, যাতে ওঁকে তিনবছরের টার্ম দেওয়া হয়েছিল। অমিত শাহের ছেলে জয় শাহও পেয়েছিলেন৷’
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষপদ থেকে মহারাজের এভাবে আচমকা বিদায়, অনেকেই একটু হলেও চমকে গিয়েছেন । আর তারপর থেকেই অনেকেই আন্দাজ করার চেষ্টা করছেন যে ঠিক কোন কারণে সৌরভকে বিসিসিআইয়ের সভাপতির পদ থেকে সরে যেতে হচ্ছে। সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিসিসিআই সভাপতি পদ থেকে সৌরভের বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি৷ তিনি বলেন, ‘‘অমিত বাবুর ছেলে রয়ে গেলেন, সৌরভ শুধু বাদ পড়ল৷ সে থাকুন, আমার কোনও যায় আসে না৷ জয় শাহকে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য বিসিসিআই-এর সেক্রেটারি হিসাবে অব্যাহত রাখতে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সৌরভের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। সৌরভকে বাদ দেওয়া হল কী কারণে? আমি এখনও মনে করি, সৌরভকে যে অন্যায় ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, সেটা একমাত্র পূরণ হতে পারে, জগমোহমন ডালমিয়াও বিসিসিআই থেকে আইসিসি-তে গিয়েছিলেন, সে ভাবে দেখতে গেলে সৌরভও আইসিসির প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়তে পারেন৷’’
এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধও করেন মমতা। তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে মমতা বলেন , ‘‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে একান্ত অনুরোধ করব, সৌরভকে যেন আইসিসিতে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে দেওয়া হয়৷ তাঁকে বঞ্চনা করা হয়েছে৷ কেন? ওঁর দোষ কী! সৌরভ, তোমার জন্য আমারা গর্বিত৷’’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১১ অক্টোবর বিশেষ বৈঠক করে বিসিসিআই৷ ওই বৈঠকের পরেই জানা যায়, বিসিসিআই সভাপতি পদ থেকে বাদ পড়তে চলেছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়৷ বদলে আসতে চলেছে প্রাক্তন ক্রিকেটার রজার বিনি৷ তারপরেই তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য রাজনীতি এমনকী, ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যেও। বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন মত আসতে থাকে৷ সৌরভ তারপর নিজেই ঘোষণা করেন, তিনি সিএবি-তে নির্বাচন লড়াই করবেন৷ তার পরই মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে অনুমান রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।