বর্ধমান

গৌরবের আটান্নতে পা সাথীর

দীপন চ্যাটার্জী

গৌরবের আটান্নতে পা সাথীর

ঐতিহ্য হচ্ছে এমন কিছু যা যুগ যুগ ধরে কোন জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকে রয়েছে, এটা হতে পারে কোন অভ্যাস, আচার-অনুষ্ঠান, প্রথা বা এমন কোন স্থাপনা যার ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। আর ইতিহাস হচ্ছে সময়ের পরিক্রমায় ঘটে যাওয়া বিভিন দেশ, জনপদ বা ভূখন্ডের গুরুত্বপূর্ন ঘটনা।

জামালপুরের সরস্বতী পুজোর, ইতিহাসে সাথী সংঘ একটি উজ্জ্বল নাম, প্রায় ৫৮ বছর আগে কয়েকজন অতি উৎসাহী কিশোরের হাত ধরে এই পূজার শুভ সূচনা হয়।প্রথম দিকে স্বর্গত নিরঞ্জন হালদার মহাশয়ের হাত ধরে নাটক কবিতা গান অনুষ্ঠিত হতো। ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও হতো।

তারপর ধারাবাহিকভাবে অনেক জল গড়িয়ে গেছে, নিরবিচ্ছিন্নভাবে সাথী সংঘের, এই সরস্বতী পুজোর ক্রমবিকাশ ঘটতে থাকে, ছোট্ট চারা গাছটি আজকে বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে। জামালপুরের বহু কিশোর যুবক এই পূজার সঙ্গে জড়িত থেকে আজকে জামালপুরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদান করছেন।

যারা এই পূজার সঙ্গে একবার যুক্ত হয়েছেন তারা আজীবন এই উৎসবে শামিল হন এবং এবং আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেন। এখানে প্রতিবছর চলে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং পাড়াপড়শিদের নিয়ে পূজার শেষ দিন খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়। সারা জামালপুরে রুচিবান সংস্কৃতিবান বিভিন্ন সদস্য এই পুজোয় শামিল হয়েছেন বা হচ্ছেন।

পূজাকে কেন্দ্র করে এখানে কোন অশান্তি বা বিবাদ সংঘর্ষ হয় না।যারা এই সাথী সংঘে যোগ দিয়েছেন বা দিচ্ছেন, তারা এখানে একটা পরিবারের সঙ্গে থাকার আনন্দ উপভোগ করেন, কত অচেনা কিশোর থেকে যুবক জামালপুরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে এই সংঘে পূজার সময় এসে যোগ দেন।

এই পূজার দৌলতে তারা পরিচিত হন গোটা জামালপুরের সঙ্গে, গুরুত্ব লাভ করেন। জামালপুর দক্ষিণ পাড়া প্রাঙ্গণে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়, কোন ক্লাব ঘর না থাকা সত্ত্বেও ক্লাবের বর্ষীয়ান সদস্য অমিতাভ রায় এবং অন্যান্য ক্লাবের প্রবীণ সদস্যরা একদল রুচিশীল যুবক কে তৈরি করে নতুন মন্ত্রে দীক্ষা দান করার কাজটি সুনিপুণ ভাবে করে আসছেন এই সাথী সংঘের মাধ্যমে। আধুনিকতার মেলায় ঐতিহ্যের ছোঁয়া নিয়ে এগিয়ে চলেছে সাথী সংঘ।

আরও পড়ুন ::

Back to top button