‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ – BBC দপ্তরে Income TaxIncome Tax এর অভিযানকে ঘিরে ব্যঙ্গ কংগ্রেসের
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
মঙ্গলবার সকালে জনা পনেরো আয়কর কর্মী হানা দেন বিবিসির দিল্লি এবং মুম্বইয়ের কার্যালয়ে। তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ চালু হয়েছে মোদীর রাজত্বে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকারও রুদ্ধ হচ্ছে। বিজেপির (BJP) পাল্টা দাবি, বিবিসি আসলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘ভ্রষ্ট বকওয়াস কর্পোরেশন’। এ সবের মধ্যেই বিবিসি তদন্তে সমস্ত রকম সহযোগিতার বার্তা দিয়েছে।
সম্প্রতি বিবিসির (BBC) একটি দু’পর্বের তথ্যচিত্র প্রদর্শন ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। বিবিসির তথ্যচিত্রকে বিশেষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে কেন্দ্র তার সম্প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। সমাজমাধ্যম থেকেও সরকারের ‘চাপে’ তুলে নেওয়া হয় তথ্যচিত্রটি। যদিও ডিজিটাল দুনিয়ায় এ ভাবে তথ্যচিত্রের প্রদর্শন ঠেকানো যায়নি। দেশের ছাত্রসমাজ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তা প্রদর্শনের ঢালাও ব্যবস্থা করে। এবার সেই রেশ কাটতে না কাটতেই বিবিসির (BBC) ভারতের দু’টি অফিসে আয়কর হানা চলল। পরিস্থিতি দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এডিটর্স গিল্ড।
বিজেপির দাবি, বিবিসি ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা’। পাশাপাশি মোদী, শাহের দল এই প্রসঙ্গেই কটাক্ষে বিঁধেছেন কংগ্রেসকে। বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেন, ‘‘ভারতে যে সমস্ত সংস্থা বা সংগঠন কাজ করছে তাদের ভারতের আইনশৃঙ্খলা মেনে চলতেই হবে। বিবিসি যদি সমস্ত আইন মানে তা হলে ভয় কিসের? বিবিসি বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা। বিবিসির কার্যপ্রণালীর সঙ্গে কংগ্রেসের খুব মিল।’’
আয়কর দফতরের (Income Tax) অভিযান নিয়ে বার্তা এসেছে বিবিসির তরফেও। সংবাদমাধ্যমটি টুইট করে জানিয়েছে, তারা আয়কর দফতরের সঙ্গে সমস্ত রকম সহযোগিতা করছে। দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ারও আশা করছে সংস্থাটি। যদিও ক্ষমতাসীন বিজেপিকে এ নিয়ে আক্রমণে কসুর করছেন না বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mouha Maitra) টুইটে বিবিসি অফিসের আয়কর অভিযান নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘বিবিসির (BBC) অফিসে যে আয়কর হানা হয়েছে, তা নিয়ে কেউ কেউ বিস্মিত। কিন্তু বিস্ময়ের সত্যিই কি কোনও কারণ আছে?’’