বর্ধমান

সমাজের তৈরি করা কিছু সংজ্ঞার নতুন রুপ দিতে এগিয়ে চলেছে মেমারীর জগন্নাথ

দীপন চ্যাটার্জী

সমাজের তৈরি করা কিছু সংজ্ঞার নতুন রুপ দিতে এগিয়ে চলেছে মেমারীর জগন্নাথ

পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ জন্ম পূর্ববর্তীতে মায়ের অসতর্কতার কারণে বা জন্ম পরবর্তী কোন কারণে কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুতে পরিণত হয়। জন্মের পর থেকেই আমাদের সমাজ তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেয় তাদের ছোটো বেলা।

তাদের কে অন্যান্য শিশুদের থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়।সমাজ তাদেরকে আলাদা করে দিলেও জীবন এবং সমাজ উভয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তারা এগিয়ে চলেছে ।তারাও প্রমাণ করতে চায় অনেক কিছু,বদলে দিতে চায় সমাজের অনেক সমীকরণ এবং আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতে চায় তারা।

সমাজের তৈরি করা কিছু সংজ্ঞার নতুন রুপ দিতে এগিয়ে চলেছে মেমারীর জগন্নাথ

আজ আমরা কথা বলবো এমন একজন শিশুর সাথে যে বদলে দিয়েছে সমাজের তৈরি করা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সংজ্ঞা। জীবনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে এগিয়ে চলেছে তার স্বপ্ন সত্যি করার লক্ষ্যে।তার নাম জগন্নাথ মাণ্ডি ,বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারী থানার সিমলা গ্ৰামে। জগন্নাথের দুটি হাতই অর্ধেক, নেই কোনো আঙুল,তালু ।

তবুও হার না মানা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সে,পায়ের আঙ্গুল দিয়ে লেখে সে। বর্তমানে সে একজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পায়ের আঙ্গুল দিয়ে লিখে পরীক্ষা দিচ্ছে সে। তার স্বপ্ন বড়ো হয়ে একজন শিক্ষক হয়ে ওঠার। সে অনেক বড়ো হতে চায় এবং অনেক পড়তে চায়,পাশে দাঁড়াতে চায় তার পরিবারের।জগন্নাথের স্কুলের শিক্ষক মহাশয় দের সাথে কথা বলে জানা যায়- ‘জগন্নাথ খুব মেধাবী একজন ছাত্র।তার মধ্যে রয়েছে অনেক কিছু জানার ক্ষিদে।সে জীবনে একজন শিক্ষক হয়ে উঠতে চায়’।

সত্যি জগন্নাথের মতো কত শিশুরা এইভাবেই লড়াই করে চলেছে জীবনে চলার পথে। তাদের এই লড়াইকে কুর্ণিশ জানাই এবং এই ভাবেই হাজার হাজার জগন্নাথ সমাজের তৈরি করা কিছু সংজ্ঞার (বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু)নতুন রুপ দিক এই আশা রাখি। জীবন যুদ্ধে
তারাই জয়ী হয়ে উঠুক আমাদের তরফ থেকে রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button