২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ (শনিবার) ভোর চারটে নাগাদ কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব অশোককুমার ভাদুড়ীর জীবনাবসান ঘটে। তাঁর প্রয়াণে বাংলার নাট্যচর্চার ইতিহাসে এক যুগের অবসান ঘটল। অবিভক্ত বাংলার পাবনা শহরে ১৯৩৯ সালের ৯ মার্চ অশোককুমার ভাদুড়ীর জন্ম হয়।
দেশভাগের সময় তাঁর পরিবার এপার বাংলায় চলে আসে। তাঁর পিতা নরেশচন্দ্র ভাদুড়ী একজন শিক্ষক ছিলেন। এপার বাংলায় এসে ভাদুড়ী পরিবার কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর এলাকায় বসবাস শুরু করে। শক্তিনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অশোককুমার ভাদুড়ী পড়াশোনার পাঠ নেন। তারপর কৃষ্ণনগরের বিপ্রদাস পাল চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন।
তিনি ছিলেন কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের একজন উল্লেখযোগ্য প্রাক্তনী। অশোক ভাদুড়ী কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ প্রাক্তনী সংসদে দীর্ঘদিন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বভার সামলেছিলেন। বিভিন্ন সময়ে কলেজের মান-মর্যাদা রক্ষার একাধিক লড়াইয়ে তাঁকে সামনে থেকে লড়তে দেখা গেছিল। অশোক ভাদুড়ী ছিলেন কৃষ্ণনগরে সাংস্কৃতিক গণচেতনার অন্যতম মুখ।
কয়েক দশক আগে রবীন্দ্রভবনকে বেসরকারিকরণের যে ঢেউ শহরের বুকে আছড়ে পড়েছিল, তাকে প্রতিহত করতে অশোককুমার ভাদুড়ী সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেই আন্দোলন সফলতার মুখ দেখেছিল। এ ধরনের আরো অনেক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে অশোক ভাদুড়ী প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন।
লেখক : আঞ্চলিক ইতিহাস লেখক, নদিয়া।