শনিবার দুপুর। কোচবিহারের (Coochbihar) দিনহাটার বুড়িরহাটে ধুন্ধুমার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে ‘হামলা’। বোমাবাজি, গুলি চালানোর অভিযোগ। এ নিয়ে উত্তপ্ত হয় রাজ্য রাজনীতি।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কথায়, ‘‘ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে, যাতে আমরা নির্বাচনে না যাই, না লড়ি। লোক যাতে ভোট না দেয় পঞ্চায়েতে।
ফাঁকা মাঠে জিততে চাইছে। ওটা হবে না। মানুষ তৈরি আছে।’’ পাল্টা শাসক শিবিরের বক্তব্য, ‘‘ওদের কাজ কুৎসা করা। তার পরেও শিক্ষা নিয়ে আমরা পুরষ্কার পেলাম। ওদের জন্য বেল পাকলে কাকের কি ? ’’
তৃণমূল (Trinamool Congress) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, ‘‘ওরা যা খুশি বলুক। যা খুশি করুক। ওরা গো-হারা হারবে। মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে।
আর ওদের সঙ্গে সিবিআই, ইডি, রাজভবনের উঠোন। এই করে মানুষের শুভেচ্ছা পাওয়া যায় না৷ এই করে মানুষের মন জয় করা যায় না।’’
গত বছরের ডিসেম্বর মাস। বিএসএফের গুলিতে প্রাণ যায় এক রাজবংশী যুবকের বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেইমতো ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘেরাও কর্মসূচি করে তৃণমূল। তখন থেকেই কোচবিহারে হাওয়া গরম। বঙ্গ রাজনীতিতেও চলছে কথার লড়াই।