বর্ধমান

বিধান রায়ের প্রানের শহর বড়শুলের শতাব্দী প্রাচীন টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসের গোডাউনে আগুন

দীপন চ্যাটার্জী

বিধান রায়ের প্রানের শহর বড়শুলের শতাব্দী প্রাচীন টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসের গোডাউনে আগুন

বিধান চন্দ্র রায়ের প্রাণের শহর পূর্ব বর্ধমান জেলার শক্তিগড় থানার বড়শুল উন্নয়নী। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অপরূপ এই বড়শুলে হঠাৎ করেই ঘটল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। শতাব্দী প্রাচীন টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসেও।

মঙ্গলবার দুপুরে ঘটেছে এই ঘটনা। গ্ৰামবাসীরা ছুটে আসেন এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকেন।পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ২টি ইঞ্জিন। এর কিছু ক্ষণ পর অবশ্য নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।

দমকলের অনুমান, কোনও ভাবে টেলিফোন এক্সচেঞ্জের গায়ে জড়ানো লতাপাতায় আগুন লেগে গিয়েছিল। সেখান থেকে আগুন লাগে টাওয়ারে। খবর পেয়ে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বর্ধমান থেকে। কিছু ক্ষণ পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

অবশ্য আগুনে অক্ষত এক্সচেঞ্জের মূল দফতর। সেখানে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পাশের দোকানগুলিও অক্ষত আছে। অগ্নিকাণ্ডে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল এলাকায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় স্বস্তি ফেরে বাসিন্দাদের মধ্যে।

এস.ডি.পি.ও সুপ্রভাত চক্রবর্তী জানান, প্রচুর প্লাস্টিকের কেবল থাকায় আগুন দ্রুত ছড়ায়। আগুন নেভাতে এলাকার মানুষ এগিয়ে আসেন। দমকলকর্মীদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা।বি.এস. এন এল. এর আধিকারিক সুদীপ্ত সিনহা জানান,প্রচুর কেবল পুড়ে গেছে।

মূল অফিসের ক্ষতি না হলেও টাওয়ারের এবং কেবলের বড় ক্ষতি হয়েছে। যদি ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে তবে টেলি পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে ।।বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সুবর্ণা মজুমদার জানান, বড় ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বেশ কিছু দোকানের চালা পুড়ে গেছে।

বড়শুল দুই নম্বর নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরুণ গোলদার বলেন, আগুন লাগার সাথেই সাথেই আমরা বিদ্যুৎ দফতরকে খবর দিই এবং তারা সাথে সাথেই বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। সাধারণ মানুষ এবং দমকলের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button