ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের ‘খাদ্যবন্ধু প্রকল্প’ চালু, দরিদ্রদের নিয়মিত আহারের বন্দোবস্ত
স্বপ্নীল মজুমদার
ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে রবিবার চালু হল ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের নতুন প্রকল্প ‘ঝাড়গ্রাম খাদ্য বন্ধু’। এদিন ঝাড়গ্রাম শহরের রবীন্দ্রপার্কে ওই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, পুরপ্রধান কবিতা ঘোষ, ঝাড়গ্রাম জেলা হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মধুসূদন কর্মকার প্রমুখ।
এদিন প্রকল্পের অধীনে দরিদ্র উপভোক্তাদের ভাত, ডাল, তরকারি, মুরগির মাংস, চাটনি খাওয়ানো হয়। খাবার পরিবেশন করেন প্রতিমন্ত্রী, সভাধিপতি, পুলিশ আধিকারিক সহ বিশিষ্টজনরা। জেলা পুলিশ সুপার জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থার উদ্বৃত্ত খাবার সংগ্রহ করে পুলিশ কর্মীরা পৌঁছে দেবেন দরিদ্র শিশু ও বয়স্কদের কাছে।
জেলা পুলিশের এই উদ্যোগের পাশে রয়েছে একাধিক বেসরকারি সংস্থাও। প্রথম পর্যায়ে ঝাড়গ্রাম ও সাঁকরাইল থানা এলাকার মোট ১৭১ জন দরিদ্র উপভোক্তার নামের তালিকা তৈরি করে শুরু হল এই পাইলট প্রকল্প। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হোটেল-রোস্তোরাঁয়, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে এবং বেসরকারি ক্যান্টিনে প্রতিদিনই নানা ধরনের খাবার উদ্বৃত্ত হয়।
অথচ ওই উদ্বৃত্ত খাবারের একটা বড় অংশ নষ্ট হয়, ফেলে দেওয়া হয়। অথচ সেই খাবার দিয়েই অনেক ক্ষুধার্ত মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব। অনেক শিশুর পুষ্টির জন্য সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে ডিম-মাছ-মাংসের সংস্থানও করা সম্ভব।