বিশাল কাইথের হাত ধরে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন সবুজ -মেরুন শিবির
হিরো বিশাল কাইথের হাত ধরে এটিকে মোহনবাগান টাইব্রেকারে বেঙ্গালুরু এফসি-কে ৪-৩ গোলে হারিয়ে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হল ।কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনা-ফ্রান্স ফাইনালে একবার এক দল এগিয়েছে। তো পরের মুহূর্তেই গোল শোধ করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ফয়সালা হয় ম্যাচের। লিওনেল মেসির হাতে ওঠে বিশ্বকাপ। আইএসএল ফাইনালের পরিসমাপ্তিও হল সেরকমই রুদ্ধশ্বাসভাবে। ৯০ মিনিটে ম্যাচের ফয়সালা হয়নি। নির্ধারিত সময় শেষ হয় ২-২ ফলে। অতিরিক্ত সময়েও এটিকে মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু এফসি – কোনও দলই গোল পায়নি।
প্রথমার্ধের শেষ হতে তখন আর কয়েক সেকেন্ড বাকি। ১-০ গোলে এগিয়ে এটিকে মোহনবাগান। উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা। আইএসএল ফাইনালে শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে তখন ১-০ গোলে এগিয়ে প্রীতম কোটালরা। পেনাল্টি থেকে একমাত্র গোলটি করেছেন দিমিত্রি পেট্রাটস।কিন্তু নাটকের তখনও বাকি ছিল। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে পেনাল্টি পায় বেঙ্গালুরু এফসি। পেনাল্টি থেকে গোল করে ১-১ করলেন সুনীল ছেত্রী। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফের একবার এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন পেট্রাটোস। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি নষ্ট করেছিলেন। উল্টে ম্যাচের ৭৮ মিনিট নাগাদ দুর্দান্ত হেডারে নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে গোল করে যান রয় কৃষ্ণা। এরপর সকলে যখন ভাবছেন যে ম্যাচ শেষ এবং বেঙ্গালুরু ট্রফি ঘরে তুলতে চলেছে তখন ফের একবার চমক। বক্সের বাইরে হওয়া একটি ফাউল থেকে মোহনবাগানকে পেনাল্টি দেন রেফারি। নিজের এবং দলের তৃতীয় গোল করে ৮৫ মিনিটে হাড়ের নিশ্চিত গ্রাস থেকে এটিকে মোহনবাগানকে বাঁচিয়ে আনেন সেই পেট্রাটস।
শেষপর্যন্ত খেলা গড়ায় টাইব্রেকার অবধি।
টাইব্রেকারে ব্রুনো এডগার্ড রামিরেজের পেনাল্টি দুর্দান্তভাবে বাঁচান এটিকে মোহনবাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। ম্যাচের ভাগ্য ওখানে নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। এরপর আর একটিও পেনাল্টি মিস করেননি এটিকে মোহনবাগান ফুটবলাররা। দুটো পেনাল্টি বাঁচিয়ে আবারও নায়ক বিশাল।