বর্ধমান

আজ পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে দিদির সুরক্ষা কবচ’এবং’দিদির দূত’ কর্মসূচীর প্রচারে জামালপুরের বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি

আজ পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে দিদির সুরক্ষা কবচ’এবং’দিদির দূত’ কর্মসূচীর প্রচারে জামালপুরের বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন তার নতুন স্ট্র্যাটেজি ‘ দিদির সুরক্ষা কবচ’এবং’ দিদির দূত’।তার নির্দেশ মতোই প্রতিটি ব্লক থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিটি গ্ৰামে চলছে জোরকদমে প্রচার। অবশ্যই এই প্রচারকে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছে শাসক দল। আর এই প্রস্তুতি পর্ব থেকে পিছিয়ে নেই জামালপুর ব্লকও। জোরকদমে চলছে দিদির সুরক্ষা কবচ এবং দিদির দূত কর্মসূচীর প্রচার।

আজ জামালপুর ব্লকের জৌগ্রামে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছিলেন বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, তৃণমূল কংগ্রেসের জামালপুর ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহেমুদ খান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভূতনাথ মালিক, সহ সভাপতি দেবু হেমব্রম, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি তাবারক আলী মন্ডল, অঞ্চল সভাপতি মৃদুল কান্তি মন্ডল, ব্লকের নেতা রেজাউল হক, তারক টুডু, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শ্রীমন্ত সাঁতরা, সুনীল ধারা সহ অন্যান্যরা।

জৌগ্রামে মতুয়া মন্দিরে পুজো দিয়ে আজকের অঞ্চলে একদিন এর কাজ শুরু হয়। জৌগ্রাম থেকে তারা চলে যান ইলসরা গ্রামে। সেখানে তারা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ঘুরে দেখে চলে যান স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানে গিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে তারা পৌঁছান জৌগ্রামে। জৌগ্রাম হাইস্কুলে পৌঁছে বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন। তারপর বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প যেগুলো বিদ্যালয়ে আছে ছাত্রছাত্রীরা তা পাচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখেন।

আজ পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে দিদির সুরক্ষা কবচ’এবং’দিদির দূত’ কর্মসূচীর প্রচারে জামালপুরের বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি

এরপরে এখানে একটি পথসভা করা হয়। মধ্যাহ্ন ভোজনের পর তারা যান জৌগ্রাম পঞ্চায়েতে। সেখানে পঞ্চায়েতে সংলাপ এর মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প পঞ্চায়েতের মাধ্যমে কিভাবে রূপায়িত হচ্ছে তা বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন। সেখানে প্রধান, উপ প্রধান সহ সমস্ত সদস্য ও পঞ্চায়েত কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর তারা সেখানেই স্থানীয়ভাবে সভা করে জনসংযোগ সারেন। দিদির সুরক্ষা কবচ এর মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া ও তাদের সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি বলেন-“রাজ্য সরকারের সমস্ত জনকল্যান প্রকল্প যাতে সাধারণ মানুষের কাছে নিঃস্বার্থ ভাবে পৌঁছে যায়, এই কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে আমরা সেই চেষ্টাই করব।” রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি নিয়ে এবার ‘দিদির দূত’ পৌঁছে যাবে মানুষের বাড়ি।
ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান বলেন -“মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাননীয় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের তৈরি করা পথেই তারা এগিয়ে চলেছেন এবং সাধারণ মানুষ যাতে সরকারি ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে একটি থেকেও যাতে বঞ্চিত না হন দিদির দূত সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে সেটা সুনিশ্চিত করবে” ।

আরও পড়ুন ::

Back to top button