উপপ্রধান হয়েও কাজ করেন গ্যারেজে, লম্বোদর মাহাতোর সততায় মুগ্ধ ভাগাবাঁধ গ্রাম
তাঁর নাম লম্বোদর মাহাতো। এলাকাবাসীর কাছে তিনি ‘লম্বু মিস্ত্রি’ বলেই সুপরিচিত। নামের সঙ্গে তাল মিলিয়েই তাঁর উচ্চতা সাড়ে ৬ ফুটের বেশি। লম্বোদর মাহাতো বরাবাজারে তৃণমূল পরিচালিত ভাগাবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। এই পদে তিনি রয়েছেন গত পাঁচ বছর ধরে।
ভোটে জেতার পরও লম্বোদর প্রতিদিন নিয়ম করে আসেন গ্যারেজে। সারাই করেন বাইক ও গাড়ি। তার গ্যারেজে বাইক সারাই করতে দেন সিপিআইএম-বিজেপি-কংগ্রেস সব দলের নেতা-কর্মীরাই।
গ্রামবাসীরা বলছেন, বর্তমান শাসকদলের নেতা হয়েও লম্বু মিস্ত্রির জীবনযাত্রা যেন একেবারে মানায় না। বাড়ি-গাড়ি দূরের কথা, ঝাঁ চকচকে পোশাকও নেই তাঁর। গ্যারেজের কালিমাখা জামা গায়েই কাটিয়ে দেন সারা দিন। দিনের শেষে ফেরেন নিজের মাটির বাড়িতে।যে সময় রাজ্যে একের পর এক নেতা-মন্ত্রীদের দুর্নীতির খবর সামনে আসছে সেই সময় লম্বু মিস্ত্রি ব্যতিক্রম।
পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা কোনও সমস্যা নিয়ে এলে ফিরে যান না। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বাড়ি থেকে প্রথমে ৫ কিলোমিটার দূরে সোজা চলে যান পঞ্চায়েত অফিসে। সেখানেই অফিসের কাজকর্ম করেন । দলের মিটিং মিছিল থাকলে গ্যারেজে থাকেন না। অন্য সময় অতিরিক্ত সময় বের করে বাইক সারানোর কাজ শেষ করেন।
লম্বোদর বাবু বলেন ‘আমার পেশা গাড়ি সারানো আর ভোটে জিতে তো মাত্র পাঁচ বছর। তারপর তো এই পেশাতেই থাকতে হবে। তাই নিজের পেশা ছেড়ে আমি একেবারেই থাকতে পারবো না। তবে উপপ্রধান হিসেবে সব সময় মানুষের পাশে থেকেছি। যদি আগামী দিনে সুযোগ পাই আবার করব”।