বর্ধমান

পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে কয়লা চুরির জন্য ব্যবহৃত ইঁদুরের গর্ত বন্ধ করলো প্রশাসন

পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে কয়লা চুরির জন্য ব্যবহৃত ইঁদুরের গর্ত বন্ধ করলো প্রশাসন

ঠিক যেন আলিবাবা ও চল্লিশ চোরের গল্প। ঘটানাটি শুনলে অবাক হবেন আপনিও।পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল বন্ধ হল গুপ্তধনের দরজা। র‍্যাটহোল বা ইঁদুরের গর্ত নামে পরিচিত সুড়ঙ্গগুলো হয়ে উঠেছিল আসানসোলে কালো হিরে পাচারের মূল কেন্দ্রবিন্দু। যদিও নাম ইঁদুরের গর্ত হলেও এর সঙ্গে সত্যিকারের মুষিকের কোন‌ও সম্পর্ক নেই। আসলে এগুলো ছিল বেআইনি কয়লা পাচারের পথ। সেই সুড়ঙ্গের মুখ‌ই বন্ধ করে দিল পুলিশ।

পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল মহকুমাজুড়ে বহু র‍্যাটহোল দেখা যায়। যেগুলি কাজে লাগিয়ে পাচার হয় কয়লা। পুলিশ জানিয়েছে ধীরে ধীরে সমস্ত র‍্যাটহোল বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর জন্য বেআইনি কয়লা উত্তোলনের পরিমাণও বেড়ে যায়। ফলে ধসের আশঙ্কা বাড়ছিল। তাছাড়া এই বেআইনি কয়লা উত্তোলন ও পাচারের জেরে দুর্ঘটনা লেগেই থাকত। মৃত্যুও হত অনেকের। তাই অবৈধ সুড়ঙ্গগুলির বিরুদ্ধে পুলিশের সহায়তা নিয়ে অভিযান চালায় কয়লা উত্তোলন সংস্থা বিসিসিএল।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিসিসিএল-র ১২ নম্বর এরিয়ার অন্তর্গত দামাগরিয়া কোলিয়ারিতে অভিযান চালিয়ে র‍্যাটহোল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোলিয়ারির ১ নম্বর বেঞ্চে ৮ টি গোপন সুড়ঙ্গ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই বিশেষ অভিযান চালিয়ে। এই অভিযানে বিসিসিএলের ম্যানেজার, নিরাপত্তা প্রধান, সিআইএসএফ জওয়ান এবং চৌরঙ্গি ফাঁড়ির পুলিশ উপস্থিত ছিল। সকলের উপস্থিতিতে ৮ টি গোপন সুড়ঙ্গ ড্রেজার চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই ধরনের অবৈধ সুড়ঙ্গ খুঁড়ে খনি অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় লুট করা হয় কয়লা। অবৈধ এই সুড়ঙ্গ পথের জন্য ধসের আশঙ্কা বাড়ে কয়লা খনি অঞ্চলে। তাছাড়াও কয়লা উত্তোলন করতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়েন শ্রমিকরা। তা সত্ত্বেও টাকার লোভে অবৈধ সুড়ঙ্গ বানিয়ে চলে কয়লা লুটপাট। নজরদারি এড়িয়েই চলত এই কারবার।

আরও পড়ুন ::

Back to top button