কাটোয়ার রিনির প্রতিভায় মুগ্ধ সমগ্ৰ নেটদুনিয়া
২০২১ এর নভেম্বর নাগাদ ইউটিউবের একটি জনপ্রিয় মিমিক্রি চ্যানেলের কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সে তার এই ভয়েস মডিউলেশনের কাজ করা শুরু করে। ২০২২ নাগাদ সে আবারও বিভিন্ন কার্টুন চরিত্রের মিমিক্রি করা শুরু করে এবং নেট মাধ্যমে একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে । হ্যাঁ আজ আমরা কথা বলছি কাটোয়ার ছোট্ট রিনির।
রিনির ইচ্ছা ভবিষ্যতে সে ভয়েস আর্টিস্ট হতে চায়। নিজের ভয়েস মিশনকে হাতিয়ার করে তার ইচ্ছা মুম্বইতে ভয়েস ইন্ডাস্ট্রির একজন হতে চায় সে। মাত্র তেরো বছর বয়সে এহেন প্রতিভায় মুগ্ধ শহরবাসী থেকে নেট নাগরিক সকলেই।
কখনও ডোরেমন, কখনও সিনচান আবার মুহূর্তেই কার্টুন চরিত্রের কণ্ঠস্বর বদলে হয়ে যাচ্ছে বোচ্যান, ছোটা ভীমের রাজু কিংবা মিকি মাউস। এমনি এক অদ্ভূত প্রতিভার খোঁজ মিলল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরে। খুদে এই শিল্পীর কথায়, কোনও প্রথাগত প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা নয়। কেবল মাত্র নিজের অবজারভেশন ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে এই কাজ করে সে।
তবে শুধুমাত্র মিমিক্রিই নয়। খুদে এই শিল্পী পারদর্শী বাঁশি, গিটার, কিবোর্ড মতো একের পর এক মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট বাজাতে। ভালোবাসে ছবি আঁকতে। তার বাড়ির দেওয়াল জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার হাতে আঁকা ছবির বিভিন্ন নিদর্শন।খুদে এই শিল্পীর নাম রিনি কুন্ডু। বছর ১৩ এর রিনি কাটোয়ার ডিসিসি গার্লস হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।
রিনির সাথে কথা বলে জানা যায়, তিন বছর বয়সে মায়ের হাত ধরে তার গান শেখার শুরু হয়। পরবর্তী কালে, কাটোয়া শহরের তনুগাত্রী পণ্ডিত নামক এক শিক্ষিকার কাছে সঙ্গীত চর্চা শুরু হয় তার। নিজের মেয়ের প্রতিভায় স্বভাবতই খুশি রিনির মা মুন্নি কুণ্ডু।