ঝাড়গ্রাম শহরের একটি বস্তার গুদামে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক কর্মীর। শনিবার গভীর রাতে শহরের জামদা সার্কাস ময়দানের কাছে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বলরামডিহি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
মৃতের নাম অরবিন্দ সাহু (৫৫)। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়া সদরের কেঠারডাঙা এলাকায়।
গুদাম মালিক করমবীর সাহু জানান, অরবিন্দ রাতে গুদাম পাহারা দিতেন। ঘুমোতেন গুদামের ভিতর। করমবীরের বাড়ি গুদাম সংলগ্ন। শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ করমবীর ঘুম থেকে উঠে বাথরুম যাওয়ার সময় লক্ষ্য করেন, গুদাম থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
তিনি অরবিন্দকে ফোন করলে দেখা যায় ফোন সুইচ অফ। এরপরই খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকল কর্মীরা অরবিন্দকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঝাড়গ্রাম দমকল কেন্দ্র ও খড়্গপুর দমকল কেন্দ্রের কর্মীরা এসে আগুন নেভান।
রবিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, গুদামের ভস্মীভূত অংশ থেকে ধোঁয়ো বের হচ্ছে। করমবীর বলেন, গুদামে রাতে থাকার সময় অরবিন্দ বিড়ি খেত। তাকে বারণ করা হলেও শুনত না। দমকল কর্তৃপক্ষেরও অনুমান, জ্বলন্ত বিড়ি থেকে গুদামে আগুন লাগে। করমবীরের দাবি, প্রায় ১০-১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তবে অভিযোগ, করমবীরের গুদামের কোনও ফায়ার লাইসেন্স ছিল না। বিমাও করানো নেই। নেই অগ্নি নির্বাপণ কোনও ব্যবস্থাও। এদিন সকালে ঘটনাস্থলে যান পুরপ্রধান কবিতা ঘোষ।
তদন্তে আসেন ঝাড়গ্রাম দমকল কেন্দ্রের স্টেশন ইনচার্জ প্রদ্যুৎকুমার মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিড়ির আগুন থেকেই গুদামে আগুন লেগেছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে।
তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অরবিন্দের ছেলে দীপক সাহুর অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্ঘটনা জনিত অগ্নিকাণ্ডের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ।