বর্ধমান

মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তিল তিল করে গড়ে তুলেছিলেন। চোখের সামনে গঙ্গা গিলে খাচ্ছে সেই বসতবাড়ি

মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তিল তিল করে গড়ে তুলেছিলেন। চোখের সামনে গঙ্গা গিলে খাচ্ছে সেই বসতবাড়ি

মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তিল তিল করে গড়ে তুলেছিলেন। চোখের সামনে গঙ্গা গিলে খাচ্ছে সেই বসতবাড়ি। গঙ্গার ভাঙনে চোখে মুখে একরাশ আতঙ্ক নিয়ে অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। হুগলীর বৈদ্যবাটীর রাজবংশী পাড়ায় প্রায় শতাধিক পরিবারের বাসিন্দাদের মধ্যে এই আতঙ্কই কুড়ে-কুড়ে খাচ্ছে। কারণ গঙ্গার গ্রাসে সেখানে তলিয়ে যেতে বসেছে কয়েকটি বাড়ি। আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।

গঙ্গার ভাঙনে ইতিমধ্যে তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গার ঘাট সহ একটি বাড়ি। ফাটল ধরেছে বেশ কয়েকটি বাড়ি ও রাস্তায়। তাতেই আতঙ্কিত হয়ে রাতের ঘুম উড়েছে বাসিন্দাদের। রাজবংশী পাড়ার বেশীরভাগ মানুষ মৎস্যজীবী। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারগুলি এখন কোথায় যাবে সেই আতঙ্কে দিন কাটছে। স্থানীয়দের কাছে অভিযোগ পেয়ে বুধবার ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে যান বৈদ্যবাটী পৌরসভার চেয়ারম্যান সহ কাউন্সিলরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে মেরামতির আশ্বাস দেন চেয়ারম্যান। শুধু পরিদর্শন আর আশ্বাস দিলে হবে না কবে থেকে কাজ শুরু হবে সে প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা সমীর সরকার বলেন, “চোখের সামনে দেখছি একটু একটু করে বাড়িটা হেলে যাচ্ছে, ফাটল দেখা দিয়েছে। যত দিন যাচ্ছে গঙ্গার দিকে টার্ন নিচ্ছে। যেভাবে দিনের পর দিন ভাঙন দেখা দিচ্ছে তাতে ঘাট বাঁধানোর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এখন মনে হচ্ছে নিজেদেরকেই করতে হবে। অনেকবার অনেকেই এসে দেখে গিয়েছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যে ঘাট ছিল সেই ঘাটও গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে।”

বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতো বলেন, “ভাঙনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করি। ইতিমধ্যেই আমরা কেএমডিএ ও সেচ দফতরকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। স্থানীয় বিধায়ক সেচ দফতরকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন। সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ররা এসে মাপজোক করে যান। এরপর আর কিছুই হয়নি। ইতিমধ্যে ভেঙে গিয়েছে ঘাট। ওই এলাকার যে সমস্ত বাড়িগুলি রয়েছে সেগুলিতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। বিধায়ককে জানাব সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ররা যে ডিপিআর তৈরি করেছে তা যেন দ্রুত হয়। প্রয়োজনে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও কথা বলব, যাতে ভাঙন রোধ করা যায়।”

আরও পড়ুন ::

Back to top button