বীরভূম

সতীপীঠ কঙ্কালীতলায় বছরের প্রথম দিনে উপচে পড়া ভিড়

সতীপীঠ কঙ্কালীতলায় বছরের প্রথম দিনে উপচে পড়া ভিড়

শান্তিনিকেতনে বেড়াতে গেলে কঙ্কালীতলা মন্দিরে যাননি বা পুজো দেননি, এমন মানুষ খুব কম মিলবে। পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় তো বটেই, এই শক্তিপীঠ স্থানীয়দের কাছেও অত্যন্ত প্রসিদ্ধ।

বীরভূম জেলার বোলপুর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে কোপাই নদীর তীরে শক্তিপীঠ কঙ্কালীতলা। তন্ত্রচূড়ামতির মতে, এটি ২৮ নং সতীপীঠ। প্রাচীনকালে এই জায়গাটি কাঞ্চি নামে প্রসিদ্ধ ছিল। তন্ত্রচূড়ামনিতেও এই স্থানের উল্লেখ আছে। পীঠ নির্ণয়তন্ত্র অনুসারে এখানে সতীর অস্থি পরেছিল, সেই কারণে এই পীঠের নাম হয় কঙ্কালীতলা। আবার ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল কাব্যগ্রন্থে লেখা রয়েছে, এখানে সতীর কটিদেশ বা কোমরের অংশটি পরেছিল। তবে এই শক্তিপীঠ নিয়ে শাস্ত্র ও মানুষদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে।

এই শক্তিপীঠের দেবী গর্ভাদেবী নামে প্রসিদ্ধ ও ভৈরব রুরু নামে পূজিত হয়। দেবীর মন্দির সংলগ্ন একটি কুণ্ড রয়েছে। যা নাকি এটির সঙ্গে বহু মাহাত্ম্য লুকিয়ে আছে। কুণ্ডের মধ্যে কয়েকটি প্রস্থর খণ্ড আছে, যেগুলিকে সাধকরা দেবীর দেহের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই প্রস্থর খণ্ডগুলি কুড়ি বছর অন্তর কুণ্ড থেকে তোলা হয়, পরে পূজার পর সেগুলিকে পুনরায় কুন্ডের জলে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। কথিত আছে, কঙ্কালীতলার কুন্ডের সঙ্গে কাশীর মনিকরনিকা ঘাটের সরাসরি সংযোগ আছে।

সতীপীঠ কঙ্কালীতলায় বাৎসরিক অনুষ্ঠান ও মায়ের আবির্ভাব তিথিতে জমজমাট কঙ্কালীতলা মন্দির চত্বর। এদিন থেকে এক সপ্তাহ ধরে সেখানে হবে চৈত্রের মেলা।

প্রতিবারের মতো এ বারও এই বিশেষ পুজো ও মেলা উপলক্ষে একান্ন পীঠের অন্যতম কঙ্কালীতলায় চোখে পড়ার মতো ভিড়। এই দিনে বিশেষ পুজোর আয়োজন করে মন্দির কমিটি।

একান্নোটি সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম হল বীরভূমের এই কঙ্কালীতলা। এখানে সতীর কাঁক অথবা কাঁকাল পড়েছিল। সেই কারণে একান্নো সতীপীঠের অন্যতম হচ্ছে কঙ্কালীতলা। প্রতিবছর চৈত্রমাসের শেষদিনে মায়ের বাৎসরিক ও আবির্ভাব তিথি পালন করা হয়। এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button