বর্ধমান

আবেদন করেও কাজ হয়নি, তাই গাড়ি মালিকদের দিয়ে কর্দমাক্ত রাস্তা পরিস্কার করালেন পুলিশ কর্মীরা

আবেদন করেও কাজ হয়নি, তাই গাড়ি মালিকদের দিয়ে কর্দমাক্ত রাস্তা পরিস্কার করালেন পুলিশ কর্মীরা

সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল যে বেঁকাতেই হয়, সেটাই করে দেখাল ভাতার থানার পুলিশ। গাড়ির মালিকদের দিয়ে কর্দমাক্ত রাস্তা পরিস্কার করালেন পুলিশ কর্মীরা। আসলে এর আগে বহু আবেদন নিবেদনেও যে কাজ হয়নি।

বোরো মরসুমে ধান কাটার কাজে ব্যবহার হচ্ছে হারভেস্টার মেশিন। এই ট্রাক্টর ও হারভেস্টার মেশিনের চাকায় জমি থেকে প্রচুর কাদা উঠে আসছে রাস্তার ওপর। ফলে বৃষ্টি হলেই দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। গত বছর রাস্তার উপর পড়ে থাকা কাদায় পিছলে পরে মারা গিয়েছিলেন ভাতারের এক বাসিন্দা।

এই কাদার জেরে ছোটগাড়িগুলিও দুর্ঘটনায় পড়ে আকছার। এমনকী যাত্রীবাহী বড় বাসও দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।এবার বোরোধান তোলার মরসুম শুরু হতেই সতর্ক পুলিশ। দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে ভাতারের বিভিন্ন প্রান্তে মাইক নিয়ে কৃষক ও গাড়ির মালিকদের সচেতন করে পুলিশ।

জমিতে কাদা পরিষ্কারের পরেই রাস্তায় গাড়ি তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে গাড়ির মালিকরা গাড়ির চাকার কাদা পরিষ্কার না করেই রাস্তায় তুলে দিচ্ছিলেন। এরফলে বর্ধমান-কাটোয়া রোড সহ ভাতাড়ের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার উপর কাদার স্তূপ জমছিল।

বিষয়টি নজরে আসতেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল ভাতার থানা।রবিবার থেকেই বিভিন্ন রাস্তায় ট্রাক্টর ও হারভেস্টার মেশিনগুলি আটক করা হয়। চালক ও কর্মীদের দিয়ে কাদা পরিষ্কার করার পরই গাড়িগুলিকে ছাড়া হয়। ভাতার থানার ওসি অরুণকুমার সোম জানিয়েছেন, রাস্তায় কাদা থাকায় যে কোনও সময়ে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।

গাড়ির মালিকদের বারবার সচেতন করা হলেও তারা কোনও উদ্যোগ নিচ্ছেন না। তাই বেশ কয়েকটি গাড়িকে আটক করা হয়েছে। বর্ধমান-কাটোয়া রোডের এবং ভাতারের আমারুন থেকে ভাতার পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত রাস্তায় কাদা পরিষ্কার করানো হয়। আগামীদিনে গাড়ির মালিকরা নির্দেশ অমান্য করলে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে।ভাতার থানার পুলিশের এই কড়া ব্যবস্থায় খুশি সাধারণ মানুষ। তারা চান এটা জারি থাকুক।

আরও পড়ুন ::

Back to top button