ঝাড়গ্রাম জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়তি নজর, আমফানে ক্ষতি কম হলেও পর্যালোচনা বৈঠক করে গেলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম জেলায় আমফানের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করে গেলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শনিবার ঝাড়গ্রাম জেলাশাসকের সভাঘরে প্রশাসনের সব দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন পার্থবাবু। বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক আষেষা রানি, জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠোর, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস প্রমুখ।
যদিও ঝাড়গ্রাম জেলায় আমফানে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে অন্যান্য ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম। ঝাড়গ্রাম জেলাকে বরাবরই গুরুত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সেই কারণে জেলায় এসে বৈঠক করে গেলেন শিক্ষামন্ত্রী। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে পার্থবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমফানের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করলাম। তবে ঝাড়গ্রামের ক্ষয়ক্ষতি অন্যজায়গার তুলনায় অনেক কম। এখানে চাষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখনও হিসেব চলছে। জেলাশাসককে বলেছি, তাড়াতাড়ি সমীক্ষা করে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ত্রাণ, ত্রিপল ও অ্যাসবেসটস্ তুলে দিতে হবে।’’ পার্থবাবু জানান, কিছু স্কুলের ক্লাসঘরের ক্ষতি হয়েছে।
মিড ডে মিল রান্নার কিচেনের শেড উড়ে গিয়েছে। টয়লেট নষ্ট হয়েছে। এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। এটা চূড়ান্ত রিপোর্ট নয়। পার্থবাবু প্রশাসনের প্রশংসা করে বলেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রচুর আনাগোনা এখানে। জেলা প্রশাসন দক্ষতার সঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের আইসোলেশন সেন্টারে রাখা ও খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে। ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে পর্যালোচনা করলাম। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে।’’ পার্থবাবু জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ঝাড়গ্রামবাসীর পাশে আছে। আগামীদিনেও পাশে থাকবে। তিনি বলেন, ‘‘সবাই একসঙ্গে মিলে কাজ করলে এই দুর্যোগ আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব।’’