ঝাড়গ্রাম

বধূ নির্যাতনের অভিযুক্ত বেপাত্তা স্বামী ও শ্বশুর আড়াই বছর পর ধরা পড়ল

স্বপ্নীল মজুমদার

বধূ নির্যাতনের অভিযুক্ত বেপাত্তা স্বামী ও শ্বশুর আড়াই বছর পর ধরা পড়ল

পণের দাবিতে বধূকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করল ঝাড়গ্রাম মহিলা থানার পুলিশ। ধৃতরা হল অশ্বিনী মাহাতো ও তার বাবা নীরেন্দ্রনাথ মাহাতো। তাদের বাড়ি জামবনি থানার জামুই গ্রামে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ে হয় অশ্বিনীর। ওই যুবতী নার্সের কাজ করতেন। তবে পণের দাবিতে বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই স্ত্রীকে মারধর করত অশ্বিনী। আর মারধরের ঘটনায় শ্বশুর বাড়ির লোকজনের ইন্ধন ছিল।

এরপর ওই যুবতী ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ঝাড়গ্রাম মহিলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, গর্ভবতী থাকার সময়ে তাঁর স্বামী জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করায় গর্ভপাত করাতে হয়েছিল। তবে ঝাড়গ্রাম মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগের পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায় নির্যাতিতার স্বামী ও শ্বশুর।

এই ঘটনায় নির্যাতিতার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও চার ননদ সহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। জানা গিয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজন ননদ আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন। এরপর তদন্তে নেমে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে বুধবার সকালে ওড়িশা রাজ্যের বারিপদা থেকে মূল অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করা হয়।

ধৃতদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার ধৃত দু’জনকে ঝাড়গ্রামের সিজেএম আদালতে তোলা হয়। অশ্বিনীকে দু’দিনের পুলিশ হেফাজত এবং নীরেন্দ্রনাথকে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

আরও পড়ুন ::

Back to top button