জাতিসত্তার দাবির আন্দোলন চলবে। কুড়মিদের জনজাতি তালিকাভুক্তির দাবির স্বপক্ষে রাজ্য সরকারের কমেন্ট, জাস্টিফিকেশনের দাবিতে এবং করম, বাঁদনা ও মকর পরবে পূর্ণ দিবস ছুটি, কুড়মালি ভাষা, সংস্কৃতি ও সারনা ধর্মের স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলন চলবে। লড়াই জারি থাকবে।
শনিবার ঝাড়গ্রাম শহরের এক অতিথিশালায় সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন কুড়মি সমাজ (পশ্চিমবঙ্গ)-এর নেতা রাজেশ মাহাতো। জেল থেকে বেরনোর পর এই প্রথমবার রাজেশ সহ অন্যান্য কুড়মি আন্দোলনের নেতারা মুখ খুললেন। গত ২৬ মে ঝাড়গ্রামের গড়শালবনিতে মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার গাড়িতে হামলার ঘটনায় রাজেশ মাহাতো, অনুপ মাহাতো, শিবাজী মাহাতো, কৌশিক মাহাতো সহ ১১ জন গ্রেফতার হন। একাধিক মামলায় তাদের অভিযুক্ত করা হয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজেশ সহ দশজন জামিনে মুক্ত হন। ভোটের পর জামিনে মুক্ত হন জয় মাহাতো।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে রাজেশ জানান, সংখ্যা গরিষ্ঠ নির্দল কুড়মিরা সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের বোর্ড গড়বেন। তবে অন্য যেখানে ত্রিশঙ্কু অবস্থা, সেখানে রাজনৈতিক দলগুলি আদিবাসী মূলবাসীদের প্রকৃত উন্নয়মনের জন্য নির্দলদের সমর্থন দিয়ে পঞ্চায়েতের বোর্ড গড়তে সাহায্য করুক, রাজনৈতিক সদিচ্ছার পরিচয় দিক।
রাজেশ জানান, বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক দলকেই তাঁরা সমর্থন করবেন না। বিরোধিতাও করবেন না। সমস্ত রাজনৈতিক দলের থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখা হবে। তাঁদের গ্রেফতার ও জামিনে মুক্তির প্রসঙ্গে রাজেশ বলেন, অযথা বিনাদোষে আমাদের জেলবন্দি করা হয়েছিল। চোখ বন্ধ করে আইনের উপর আস্থা রেখেছিলাম। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।