ঝাড়গ্রাম

মাঝরাতে দেওয়াল ভেঙে ঘরে ঢুকল হাতি, অল্পের জন্য প্রাণরক্ষা দুই শিশু সহ দম্পতির

স্বপ্নীল মজুমদার

মাঝরাতে দেওয়াল ভেঙে ঘরে ঢুকল হাতি, অল্পের জন্য প্রাণরক্ষা দুই শিশু সহ দম্পতির

মাঝ রাতে হুড়মুড়িয়ে মাটির দেওয়াল ভেঙে রান্নাঘরে ঢুকে পড়ল হাতি। অল্পের জন্য দুই ছেলেকে নিয়ে প্রাণে বাঁচলেন আদিবাসী দম্পতি। তবে একটি হাতি যখন খাবারের সন্ধানে ঘরের দেওয়াল ভেঙে ভিতরে ঢুকেছিল, বাইরে তখন মনের সুখে বাগানের কলাগাছ খাচ্ছিল আর একটি হাতি।

এই পরিস্থিতিতে চরম আতঙ্কের মধ্যে ঘরের এক কোণে ঘন্টা দেড়েক লুকিয়ে থাকলেন ঝাড়গ্রাম থানার শালবনি পঞ্চায়েতের জোয়ালভাঙা গ্রামের পঞ্চানন মুর্মু, তাঁর স্ত্রী সালমণি মুর্মু এবং তাদের স্কুল পড়ুয়া দুই খুদে ছেলে হেমাল ও তারাস।

বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে পঞ্চাননরা মাটির বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ দেওয়াল ভাঙার শব্দে পঞ্চানন ও তাঁর স্ত্রীর ঘুম ভেঙে যায়। অন্ধকারে তাঁরা বুঝে যান, একটি ছোট হাতি রান্না ঘরের দেওয়াল ভেঙে ঢুকে পড়েছে।

ততক্ষণে ৯ বছরের হেমাল ও ৭ বছরের তারাসেরও ঘুম ভেঙে যায়। বাইরেও কলাগাছ ভাঙার শব্দ শুনতে পান পঞ্চানন। জানালার ফাঁক দিয়ে তিনি দেখেন আর একটি বড় হাতি বাড়ির বাইরে বাগানের কলাগাছ খাচ্ছে। উঠোনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছোট হাতিটি তখন ঘরের ভিতরে ঘুরপাক খাচ্ছিল। ঘরে মজুত, চাল আটা সাবাড় করে দেয় হাতিটি।

উৎকন্ঠায় পড়শিদের ফোন করে বিষয়টি জানান পঞ্চানন। প্রতিবেশীরা হুলা (মশাল) জ্বেলে হাতি তাড়াতে আসেন। কিন্তু ঘরের ভিতরের হাতিটি নাছোড়বান্দা। সেই হাতিটি বেরোচ্ছিলই না। বাড়ির বাইরে থাকা হাতিটিও সঙ্গীকে না নিয়ে ফিরতে নারাজ।

অগত্যা হাতি খেদাতে ঘন্টা খানেক সময় চলে যায়। ছোট হাতিটি বাড়ির ভিতর থেকে বেরিয়ে অপর হাতির সঙ্গে হেলেদুলে জঙ্গলের দিকে যাওয়ার পর হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন পঞ্চানন ও তাঁর পরিজনরা।

শনিবার ভাঙা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পঞ্চানন বলেন, এর আগেও এলাকায় হাতি ঢুকে জমির ফসল খেয়েছিল। সেই ক্ষতিপূরণ এখনও পাইনি।

আরও পড়ুন ::

Back to top button