আদিবাসী কুড়মি সমাজের অধিবেশনে ঘোষণা, ২০ সেপ্টেম্বর থেকে খড়্গপুরের খেমাশুলিতে লাগাতার রেল ও জাতীয় সড়ক অবরোধের ডাক
স্বপ্নীল মজুমদার
আদিবাসী কুড়মি সমাজের পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন সংগঠনের মুখ্য উপদেষ্টা অজিতপ্রসাদ মাহাতো।
রবিবার ঝাড়গ্রাম শহরের এক অতিথিশালায় সংগঠনের ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির এক বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। সেখানে জেলার সর্বস্তরের সাংগঠনিক সদস্য ও কর্মীরা এসেছিলেন।
সভাশেষে আদিবাসী কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিতপ্রসাদ জানিয়ে দেন, কুড়মিদের আদিবাসী তালিকা ভুক্তির দাবিতে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে খড়গপুর গ্রামীণের খেমাশুলিতে লাগাতার রেল অবরোধ এবং জাতীয় সড়ক অবরোধ হবে।
এই কর্মসূচির তিনি নাম দিয়েছেন রেল-টেকা ও ডহর-ছেঁকা। অজিতপ্রসাদ বলেন, সরকারের কাছে বার বার আবেদন নিবেদন করেও কোনও কাজ হচ্ছে না। সরকার আলোচনায় বসছে না। সরকার আলোচনায় অন্তত বসুক, সেটাও করছে না। ফলে আমাদের আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
তবে এদিন লক্ষণীয় ভাবে জেলমুক্ত রাজেশ মাহাতো সহ কুড়মি আন্দোলনের এগারো জন নেতা কর্মী কেউই অজিতের সভায় হাজির হননি। অজিত অবশ্য বলছেন, আমি সবাইকেই ফোন করে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, কিন্তু ওরা এল না। ওরা তো এক সময় আমার সংগঠনেই ছিল।
এখন ওরা বেরিয়ে আলাদা সংগঠন করছে সেই জন্য আসবেই বা কি করে। তবে এর মাঝে ঐক্যবদ্ধ কুড়মি আন্দোলন কি সম্ভব? সেই প্রশ্নও উঠছে। তবে এদিন সমাবেশ সভায় হাজির হয়েছিলেন আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজী মাহাতোর বাবা মনোরঞ্জন মাহাতো।
প্রবীণ মনোরঞ্জন বলেন, দাবি আদায়ের লক্ষ্য সব কুড়মি সংগঠনকে ’ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে।