ঝাড়গ্রাম

বালকের গাল ভেদ করে মুখের ভিতর গেঁথে গিয়েছিল লোহার বড়শি, সফল অস্ত্রোপচার করে বার করলেন ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক

স্বপ্নীল মজুমদার

বালকের গাল ভেদ করে মুখের ভিতর গেঁথে গিয়েছিল লোহার বড়শি, সফল অস্ত্রোপচার করে বার করলেন ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক

৮ বছরের বালকের মুখের ভিতরে আটক এগিয়েছিল মাছ ধরার বড়শির কাঁটা। রবিবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সফল অস্ত্রোপচার করে বড়শিটি বার করা হস।

হাসপাতালের সার্জেন সৈকত রানার নেতৃত্বে ওই অস্ত্রোপচার হয়। বালকটি এখন সুস্থ। হাসলপাতালের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাকে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার ধানসিঁড়ি চাতলা গ্রামের আট বছরের ভোলা রানা কয়েকদিন আগে মায়ের সঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া থানার চৈনিশোল-পাঁচরুখী গ্রামে মাসির বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।

রবিবার সেখানে ডুলুং নদীতে স্নান করার সময় ভোলার ডান গাল ফুটো করে চোয়ালের তলা দিয়ে একটি লোহার বড়শি মুখের ভিতর ঢুকে যায়। ওই অবস্থায় রবিবার ভোলাকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর রবিবার বিকেলে সার্জেন সৈকত রানা প্রায় পৌনে এক ঘন্টা ধরে জটিল অস্ত্রোপচার করে বড়শিটা বার করেন।

অস্ত্রোপচারে চিকিৎসক সৈকত রানার সঙ্গে সহযোগী অ্যানাস্থেটিস্ট ছিলেন শতাব্দ বসু ও নার্স মৌমিতা মাইতি। ভোলার মুখের ভিতর তিনটি ও বাইরে গালে চারটি সেলাই দিতে হয়েছে। বালকটির অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সুস্মিতা ভট্টাচার্য বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন সফল হয়েছে। বালকটির অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

আরও পড়ুন ::

Back to top button