ঝাড়গ্রাম

চাল-আলুর সঙ্গে সয়াবিন-বিস্কুট-সাবান, শিক্ষকের উদ্যোগে খুশি অভিভাবকেরা

চাল-আলুর সঙ্গে সয়াবিন-বিস্কুট-সাবান, শিক্ষকের উদ্যোগে খুশি অভিভাবকেরা

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: মিড ডে মিলের বরাদ্দ সরকারি চাল-আলুর সঙ্গে পড়ুয়া পিছু দেওয়া হল সয়াবিনের প্যাকেট ও জীবাণুনাশক সাবান। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষকের এমন উদ্যোগে প্রশংসায় পঞ্চমুখ অভিভাবকেরা। ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর-১ চক্রের আমাইনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক মানস বেজ পড়ুয়াদের জন্য সরকারি বরাদ্দের চাল আর আলু দিয়েই ক্ষান্ত হননি।

তিনি নিজের উদ্যোগে প্রতিটি পড়ুয়ার জন্য সয়াবিনের প্যাকেট, বিস্কুট ও জীবাণুনাশক সাবান দিয়েছেন অভিভাবকদের। আমাইনগর গ্রামটি দরিদ্র আদিবাসী অধ্যুষিত। স্কুলের অধিকাংশ পড়ুয়া আদিবাসী। অধিকাংশ অভিভাবকের পেশা দিনমজুরি। তাই স্কুলের মিড ডে মিলের খাবারই ছিল পড়ুয়াদের পুষ্টির উৎস। লকডাউনে স্কুল বন্ধ। পড়ুয়াদের জন্য সরকারি উদ্যোগে স্কুল-কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে তিন কেজি চাল ও তিন কেজি আলু। মানসবাবু বললেন, ‘‘শিক্ষাদানের পাশাপাশি পড়ুয়ারা সার্বিক বিষয়ে লক্ষ্য রাখাটাও শিক্ষকদের কর্তব্য। সেই কারণেই পড়ুয়া পিছু এক প্যাকেট সয়াবিন, বিস্কুট ও সাবান দিয়েছি।’’ ওই স্কুলে মানসবাবু সহ দু’জন শিক্ষক। আর এক শিক্ষক দেবাশিস সাউ লকডাউনের জন্য ঘাটালের বাড়িতে রয়েছেন। সেই কারণে সোমবার একাই স্কুলে গিয়ে চাল-আলু-সোয়াবিন-বিস্কুট-সাবান বিলি করে এসেছেন মানসবাবু।

অভিভাবক শুকচাঁদ হাঁসদা, বাবুলাল হেমব্রম, সুচিত্রা হেমব্রম জানালেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মানস মাস্টারমশাই চাল আলু বিলি করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সয়াবিন, বিস্কুট ও সাবান দিয়েছেন। হাত ধোয়া ও মুখ ঢেকে রাখার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও অভিভাবকদের সচেতন করেছেন। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি বলেন, ‘‘ওই শিক্ষকের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’’

আরও পড়ুন ::

Back to top button