ঝাড়গ্রাম

লোকের তাড়া খেয়ে একেবারে ঝাড়গ্রাম শহরের মধ্যে ঢুকে পড়ল দলছুট হাতি, দাঁতালকে লক্ষ্য করে ইট জনতার

লোকের তাড়া খেয়ে একেবারে ঝাড়গ্রাম শহরের মধ্যে ঢুকে পড়ল দলছুট হাতি, দাঁতালকে লক্ষ্য করে ইট জনতার

 

লকডাউনের ফলে রাস্তাঘাট কার্যত শুনশান। এরই মধ্যে ঝাড়গ্রাম শহরের বুকে ঢুকে পড়ল দলছুট দাঁতাল হাতি। লকডাউনে গৃহবন্দি থাকা মানুষজন বুধবার রাতে হাতি তাড়াতে রাস্তায় নেমে পড়েন। অবশেষে পুলিশ ও বন দফরের যৌথ প্রচেষ্টায় হাতিটিকে শহরের এক প্রান্ত থেকে শহরের অন্য প্রান্তের জঙ্গলে পাঠানো সম্ভব হয়।

পুলিশ, বনদফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে বুধবার রাত প্রায় আটটা নাগাদ হঠাত্‍ ঝাড়গ্রাম শহরের মেহেরাবাঁধ এলাকায় একটি দাঁতাল হাতি ঢুকে পড়ে। হাতি ঢোকার খবর পেয়ে এলাকার বহু মানুষ বেরিয়ে পড়েন। তাঁরা হাতি তাড়াতে শুরু করে দেন। সাধারণ মানুষের তাড়া খেয়ে হাতিটি শহরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। মেহেরাবাঁধ থেকে বামদা এলাকা হয়ে ঝাড়গ্রাম শহরের বাজারের লোকাল বোর্ড এলাকায় হাতিটি চলে আসে।

সেই সময় বহু মানুষ একত্রিত হয়ে হাতিটিকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন বলে অভিযোগ। মানুষের ভিড় কমানোর জন্য আচমকাই পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ উঠেছে। হাতিটি ঝাড়গ্রাম শহরে সবজি বাজারের মধ্য দিয়ে ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশনের পাশে চলে যায়। সেখান থেকে জেলখানা মোড় হয়ে ঝাড়গ্রাম থানা ও ঘড়াধরা পার্ক সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে হাতিটি খানাকুলের জঙ্গলে চলে যায়।

শহরের বুকে হাতি যাতে কোনও ক্ষতি না করতে পারে সে জন্য শহরে হাতি ঢোকার খবর পাওয়ার পর থেকেই ঝাড়গ্রাম থানার আইসি পলাশ চট্টোপাধ্যায় ও ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হলেইচি সর্বক্ষণ বনকর্মীদের সঙ্গে ছিলেন। ঝাড়গ্রাম শহরের বুকে হাতি ঢুকে পড়া নতুন নয়। এর আগেও বহুবার শহরের বুকে হাতি ঢুকে পড়েছিল। কিছুদিন আগেই মেহেরাবাঁধ এলাকায় ভোররাতে একটি দল ছুট হাতি ঢুকে এক শ্মশানযাত্রীকে মেরে ফেলে। ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হলেইচি বলেন, ‘ঝাড়গ্রাম শহরে হঠাত্‍ একটি হাতি ঢুকে পড়েছিল। হাতিটি শহরের বুকে তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি করেনি। বন দফতরের প্রচেষ্টায় হাতিটিকে পুনরায় জঙ্গলে পাঠানো হয়েছে।’

সুত্র: THE WALL

আরও পড়ুন ::

Back to top button