কলকাতা

নোবেলজয়ীর ভিডিও বার্তায় করোনা সচেতনতা বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গে

নোবেলজয়ীর ভিডিও বার্তায় করোনা সচেতনতা বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গে

 

ওয়েবডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারির সংক্রমণ থেকে বাঁচতে জনগণকে সচেতন করতে মাঠে নেমেছিলেন নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের আড়াই কোটি বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে মোট ৮টি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন এই নোবেলজয়ী। রাজ্যবাসীর মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তাঁর এই ভিডিও বার্তা দারুন কাজে দিয়েছে।

সেই ভিডিও বার্তায় সচেতন হয়েছে মানুষ। কমেছে রোগ লুকানোর প্রবণতা, সেই সঙ্গে উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষা করানোর মতো পদক্ষেপ নিচ্ছে সাধারণ মানুষ। মোট কথা নোবেলজয়ীর ভিডিও বার্তায় কাজ দিয়েছে।

এমনটাই নিজের সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে জাবি করেছেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সহকর্মীরা। জনস্বাস্থ্য পরিষেবা. মেসেজিংয়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে সেই গবেষণাপত্রে।

সম্প্রতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকনমিক রিসার্চ (এনবিইআর) প্রতিষ্ঠানে পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী, সচেতনতা বৃদ্ধিতে মোট ৮টি ভিডিও বার্তা রাজ্যের ৭০০ স্বাস্থ্যকর্মী এবং ১,৮০০ এর বেশি সাবেক ও বর্তমান গ্রামীণ নেতাকে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন : ৯৯ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত আমফানের টাকা পেয়েছেন, তাও কেউ কেউ ডার্টি পলিটিক্স করছে : মমতা

সেই ভিডিও বার্তায় জোর দেওয়া হয়েছে সংক্রমণ রুখতে হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপর, নিজের ও অন্যদের সঙ্গে নিজের জন্য খরচ করা এবং সচেতন করা হয়েছে সামাজিক ব্যাধি যেমন- করোনা রোগীদের একঘরে করার প্রয়োজনীয়তা বা তাদের সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে জানানো। এড়িয়ে চলার বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে।

নোবেলজয়ীর গবেষণাপত্র অনুযায়ী, করোনাকালে মানুষের কাছে মেসেজের আকারে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের ভিডিও বার্তা অনেক গুরুত্ব রাখে। যে কারণে মানুষ সচেতন হয়েছেন। রোগ লুকায়নি, পরীক্ষার উপর জোর দিয়েছে।

কোনোরকম উপসর্গ দেখা দিলেই ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করেছে। সংক্রমণ রুখতে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা পালন করেছে সাধারণ মানুষ। ভিডিও বার্তাগুলি রাজ্যের ১,২৬৪টা পিন কোডের মধ্যে ১,২১৪টি পিন কোড অঞ্চলে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন : হু-র গাইড লাইন মেনে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে না রাজ্যে, চোখে আঙুল দিয়ে ভুল দেখাল আইসিএমআর

এই প্রজেক্টে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তাঁর স্ত্রী এবং নোবেলজয়ী অস্থার ডুফলো, এমিলি ব্রেজা, অরুণ জি চন্দ্রশেখর-সহ আরো অনেকে কাজ করেছেন। রাজ্যের কভিড মোকাবেলায় তৈরি পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য ডা. অভিজিৎ চৌধুরি ও মার্সেলা আলসানের তত্ত্বাবধানে এই প্রজেক্টে কাজ হয়েছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button