ঝাড়গ্রাম

রাজ্যে কন্যাশ্রীর উজ্জ্বলমুখ ঝাড়গ্রামের শিরিণ পালকে সংবর্ধনা

রাজ্যে কন্যাশ্রীর উজ্জ্বলমুখ ঝাড়গ্রামের শিরিণ পালকে সংবর্ধনা

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: কন্যাশ্রী দিবসে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রাজ্য স্তরীয় কৃতী কন্যাশ্রী শিরিণ পালকে সংবর্ধনা দেওয়া হল। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের সিদো কানহো হলে শিরিণের হাতে নারী ও শিশুবিকাশ এবং সমাজকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী ডা. শশী পাঁজার স্বাক্ষরিত মানপত্র তুলে দেন ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ‍্যস্তরে যুবসংসদ প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ স্পিকার এবং রাজ‍্য ছাত্র যুব উৎসবে শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে পুরস্কৃত হওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নারী ও শিশুবিকাশ এবং সমাজকল‍্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে শিরিণকে এই বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

[ আরও পড়ুন : চিংড়ির পর এবার আবার মুরগী, ফের আতঙ্ক চীনজুড়ে ]

গত বছর রাজ্যস্তরের যুবসংসদ প্রতিযোগিতায় সেরা স্পিকার নির্বাচিত হয়েছিল ঝাড়গ্রাম শ্রীরামকৃষ্ণ সারদাপীঠ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী শিরিণ। রাজ‍্য ছাত্র যুব উৎসবেও শ্রেষ্ঠ শিল্পী নির্বাচিত হয় ঝাড়গ্রামের এই ভূমিকন্যা। এ বছর মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়ে শিরিণ এখন কলকাতার পাঠভবনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে।

রাজ্যে কন্যাশ্রীর উজ্জ্বলমুখ ঝাড়গ্রামের শিরিণ পালকে সংবর্ধনা

গত কয়েক বছরে রাজ্য ও জাতীয় স্তরের বিভিন্ন নাট্য প্রতিযোগিতায় কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে শিরিণ। শিরিনের বাবা-মা কুন্তল পাল ও দেবলীনা দাশগুপ্ত পাল ঝাড়গ্রামের দুই উজ্জ্বল নাট্য ব্যক্তিত্ব। শিরিণও একজন নাট্য-অভিনেত্রী। ২০১৭ সালে রাজ্য ছাত্র-যুব উৎসবে ‘নদী ও ঘাটের কথা’ নাটকে অভিনয়ের জন্য সেরা শিশু অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিল শিরিণ।

[আরও পড়ুন :  প্রাক-স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে করোনা যোদ্ধাদের ঋণ স্বীকার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ]

তারও আগে দু’বার ২০১২ ও ২০১৪ সালে ইলাহাবাদে অখিল ভারতীয় বহুভাষিক লঘু নাট্য প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ শিশু অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিল। ২০১৮ সালে ইলাহাবাদেই নিখিল ভারত বাংলা একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ শিশু অভিনেতা নির্বাচিত হয়েছিল শিরিণ। অভিনয়ের পাশাপাশি, কর্মশালা ভিত্তিক নাটক নির্মাণ, নির্দেশনা ও পাপেট সঞ্চালনাতেও শিরিণ দক্ষ।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button