পুলিশ মানবের বন্ধু হতে চায় অনেক আইপিএস অফিসার,সব পুলিশ খারাপ নয়। সৎ মানুষের পাশে থেকে অনেক অনেক আইপিএসের কোণঠাসা অবস্থা। আবার এই পুলিশ প্রশাসনের দ্বারাই অনেক খাড়াপ কাজ করায় শাসকদলের নেতারা। এই নেতাদের স্বার্থের লোভে পড়ে দুর্নীতির কবলে আইপিএস অফিসাররা। তবে বাংলার বুকে এমন অনেক আইপিএস অফিসার বুক চিতিয়ে সাহসের সাথে কাজ করেন,তেমন এক অফিসার নাম অজয় রানাডে ,অজিত সিং যাদব , সুখেন্দু হীরা, আরো অনেকেই। এসব নিয়ে লিখতে গিয়ে আমার অসহায় মানুষের কথা মনে পড়ছে। সেই সব মানুষের পাশে এক মাত্র পুলিশ থাকে। সেই কারনে বলবো পুলিশ সারা বিশ্বে মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছে সেই প্রাচীন কাল থেকেই। প্রচলিত ধারনা অনুযায়ী তাদের সব সময় সৎ সাহসী ও সহায়ক ভূমিকায় থাকা উচিৎ। কিন্তু ইতিহাস বলে সব সময় এমনটা হয় না। তাদের ভালো দিকের পাশাপাশি আছে অন্ধকার দিকও। সেই পুলিশের সম্পর্কে আজ নানান ধরনের অভিযোগ শোনা যায় বাংলার বুকে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সর্বসময় নিন্দার ঝড় ওঠে। পুলিশকে মানুষ, মানুষ ভাবতে পারে না এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়ে ওঠে এই বাংলায়। তবে এই সব আপনার আমার সকলের জন্য পুলিশকর্মীরাও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে জনসেবার কাজ করে চলেছেন। আর তা করতে গিয়েই ইতোমধ্যে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের বহু কর্মী-অফিসার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণও গিয়েছে অনেকের। তবু, দায়িত্ব পালন থেকে একচুলও সরেননি তাঁরা। এবার তাই তাঁদের সম্মান দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলার বুকে রাজ্যর বিরোধী দল বিজেপি সর্বদাই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তবে যুগে যুগে পুলিশ শুধু রাবণের ভুমিকাই যে পালন করেছে তা কিন্তু নয়। তাদের ঝুলিতে রয়েছে অগুনতি ভালো কাজের নিদর্শন। মানবতার সেবায় প্রাণ উৎসর্গ করার মত ঘটনাও আছে বিশ্ব পুলিশের ইতিহাসে। এদিকে দিন কয়েক আগে ফের বেফাঁস মন্তব্য বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে, এবারও তাঁর আক্রমণের নিশানায় রাজ্য় পুলিশ। বেলঘড়িয়ায় বিজেপির সভায় পুলিশকে নিজেদের কাজ ছেড়ে সবজি বিক্রি করতে বললেন রাজ্য় বিজেপির কান্ডারি। যা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। সেই কারণেই কি? পুলিশ শব্দের সঙ্গে ঘুষখোর শব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দিনের আলোতে প্রকাশ্যে দাঁড়িয়ে পুলিশকে ঘুষ নিতে দেখা যায়, চোখের সামনে দেখে অভ্যস্ত বাংলার মানুষ। তবেই জাতীয় ক্ষেত্রে অন্যান্য রাজ্যগুলির তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ যেখানে অনেক ক্ষেত্রেই এগিয়ে৷ দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গই উন্নয়নের দিশারী বলে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বিগত কয়েক বছরে বাংলার প্রভূত উন্নতি হয়েছে সেক্ষেত্রে বাংলা এখন বিনিয়োগকারীদের গন্তব্য৷ দেশে যখন শিল্পোৎপাদনের হার তলানিতে তখন বাংলায় শিল্পে বৃদ্ধির হার বেড়েছে৷ অর্থনীতির উপর নির্ভর করেই শিল্প গড়ে ওঠে৷ সেক্ষেত্রে দেশের মধ্যে দারিদ্র্যের হার কমাতে দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম স্থানে৷ দেশে ৪৫ বছরের ইতিহাসে যখন বেকারত্বের হার সর্বাধিক, সেখানে বাংলায় বেকারত্বের হার ৪০শতাংশ পর্যন্ত কমেছে৷ এদিকে প্রতি পুলিশ দিবসে আমলারা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পুলিশ বাহিনী নিয়ে বিরোধী নেতাদের সাম্প্রতিক হুমকির প্রসঙ্গ তুললেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাখঢাক না-করেই সেই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। তবে মুখে কারও নাম তোলেননি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে লাগাতার টুইট করে থাকেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। সম্প্রতি একটি গোপন চিঠি লিখে ডিজি’কে তাঁর ভূমিকার কথাও স্মরণ করিয়েছেন তিনি। এ দিন রাজ্যপালের নাম না-করেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘চিঠি লিখে কেন গালিগালাজ দিচ্ছেন। এক জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কেন নেওয়া হচ্ছে বলে শাসাচ্ছেন। এই পুলিশ যখন করোনা-আমপানে কাজ করে, রক্তদান করে, প্লাজ়মা দান করে তখন প্রশংসা করে তো চিঠি দেন না!’’ এর পরে রাজ্যপালের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘ওখানকার সিপি মনোজ বর্মাকে গুলি করে মারতে চেয়েছিল। রোজ একটা বাড়ি থেকে বোমা পড়ছে। অন্য কেউ কিছু করছে না। পুলিশকে কেন দোষারোপ করছে? কেন ডিজি’কে চিঠি লিখে গালিগালাজ করছেন?’’ এখানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী। দিন দুই আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ‘চামচাবাজি’ করা পুলিশকে ভোটের পরে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। তাঁদের বউ-বাচ্চার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেবেন না বা পুলিশ কর্মীদের বাইরে পাঠরত ছেলেমেয়েদের পরিযায়ী শ্রমিক বানিয়ে দেবেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মুখে দিলীপের নাম না-নিলেও পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশে এমন নেতাদের থেকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছেন।
তবে বরাবর আমরা সবাই দেখতে থাকি। অন্যায়কারীরা নিজের দোষ ঢাকতে, লক্ষ লক্ষ টাকার মুনাফা পাইয়ে দিচ্ছে পুলিশকে। তবে সর্বদাই পুলিশের মধ্যে সৎ নিষ্ঠাবান ব্যক্তি আজও বিরাজমান। তা না হলে বাংলা তথা ভারতবর্ষের বুকে দুর্নীতি সাথে সাথে দুষ্ট লোকদের রাজত্ব বেড়ে যেত।এখনো এমনই পুলিশ অফিসার আছে বাংলার বুকে অত্যন্ত গর্বিত ও বাংলার মানুষের পাশে সর্বদা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।পুলিশ মানে অসৎ নয়, ঘুসখর নয়, আপনার আমার বাড়ি ছেলেরাই একদিন হয়তো বড় পুলিশের অফিসার চাকরি করবে। পরিস্থিতিকে বাধ্য করে দেয় ঘুষ নিতে। তারপরেও পুলিশ দপ্তরে কাজ করেও এমন দক্ষ সৎ নিষ্ঠাবান অফিসার আছে যারা বাংলায় অনেক মহান কাজ করছে তেমনই একটি নাম অজয় রানাডে অতিরিক্ত ডাইরেক্টর অফ জেনারেল পুলিশ পরিকল্পনা পদে বাংলায় নিযুক্ত আছেন। রাষ্ট্রের অপরিহার্য একটি অঙ্গ। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান তাদের দায়িত্বে। তাই প্রত্যাশা সংগত যে তারা দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনকে মূলনীতি হিসেবে অনুসরণ করবে। দেখার থাকে আমাদের রাজ্যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের দায়িত্ব পালনে কতটা কার্যকর ভূমিকায় আছে। শুরুতেই বলতে হবে দশ কোটি লোকের ঘনবসতিপূর্ণ এ বাংলা শাসনকাজ দুরূহ। এখানে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু অপরাধ ঘটতেই পারে। আর তা ঘটছেও। অনেকে বলে থাকেন, কোনো কোনো উন্নত রাজ্যের সংগঠিত অপরাধের চেয়ে আমাদের এখানে অপরাধের হার কম। তবে পার্থক্য হলো সেসব রাজ্য অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হয়। তদন্ত হয় যথার্থ। বিচার হয়। এর অন্যথা হওয়ার সুযোগ খুব কম। আর আমাদের রাজ্য ঘটে যাওয়া অপরাধে তদন্ত প্রক্রিয়া শ্লথ। ক্ষেত্রবিশেষে ত্রুটিপূর্ণ। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও রয়েছে। তদন্ত ও বিচারে দীর্ঘসূত্রতার সুযোগ পায় অভিযুক্ত ব্যক্তি। আদালতের সাক্ষ্য–প্রমাণ হাজির করা খুব কঠিন কাজ। আর অপরাধ যথার্থভাবে প্রমাণ করতে না পারায় আসামি পার পেয়ে যাচ্ছে। এতে উৎসাহিত হয় অন্য অপরাধীরা। যত দোষ নন্দ ঘোষ এর পুলিশি অত্যাচার, পুলিশের অনৈতিক কান্ডকারখানা, পুলিশের কায়েমী স্বার্থ, এসব আমরা প্রায়ই বলে থাকি। আমি বলছি না, পুলিশের মধ্যে অসাধু চক্র নেই। অসততাও আছে। সেটা সব পেশাতেই আছে। কিন্তু বাকি সব পেশার তুলনায় পুলিশের কাজে ঝুঁকি যে অনেক বেশি, তাতে তো কোনও সন্দেহ নেই। পেশার কারণে অনেক কিছুই নেই তাঁদের জীবনে। পরিবারের জন্য সময় নেই। ডিউটির ক্ষেত্রে ইচ্ছে-অনিচ্ছে, পছন্দ-অপছন্দ ভাবার কোনও প্রশ্নই নেই।পুজো, বড়দিন, ঈদ বা যে কোনও উৎসবে আমরা মেতে উঠি পুলিশের ভরসাতেই। ঠিক সেই সময় একজন পুলিশকর্মী বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা কিভাবে কাটাচ্ছেন, ভাবি না কিন্তু আমরা। পাশাপাশি নিজেদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অনুষ্ঠান ইত্যাদির ক্ষেত্রেও ডিউটিকেই আগে রাখতে হয় তাঁদের। নির্ধারিত ডিউটির বাইরেও যে কোনও সময়, যে কোনও জায়গাতেই পরিস্থিতি সামলাতে ছুটে যেতে হতে পারে একজন পুলিশকর্মীকে।দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পুলিশের গাফিলতি নিয়ে প্রচুর অভিযোগ শোনা যায়। যেন বাকি সবাই তাঁদের দায়িত্ব পালনে একেবারে নিখুঁত। পুলিশকে কাটাছেঁড়া করার সময় এটা আমরা মনেই রাখি না।
একই ভাবে পুলিশকে ঘুষখোর বলার আগেও বোধহয় নিজেদের মুখগুলো আয়নায় দেখে নেওয়া প্রয়োজন। ঘুষটা দিচ্ছে কে? আমি-আপনিই তো! আমরাই অপরাধ ঢাকতে, সহজে কাজ হাসিল করতে, অসাধু লেনদেন চালিয়ে যেতে, পুলিশকে উপঢৌকন দিয়ে থাকি। দিয়ে এসেছি। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির ভূমিকা কি, সবাই জানেন। তবে রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে এখনো আইপিএস আছেন বহু কাজ করেছেন। মানুষের সুখ-দুঃখ পাশে দাঁড়াতে গিয়ে তাদের বারবার সমস্যায় পড়তে হয়েছে। বাংলাতেই পুলিশের ভূমিকা খুব বেশি সক্রিয়তা নেই, পুলিশদেরকে ব্যবহার করছে রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীরা। ভালো পুলিশ অফিসারদের ভালো পোস্টে দেয়া হচ্ছে না এটা চিরন্তন সত্য কথা। তবে বাংলার এরকম সৎ একজন পুলিশ অফিসার আজও মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন, তিনি হচ্ছেন অজয় রানাডে। থানার অবদান বাংলায় প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে। তার র্কানে কোন সমস্যার কথা উঠলে, তিনি যেকোনো ভাবে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেন। তবে আজকের দিনে বেশিরভাগ লোকেরাই নিজের স্বার্থের জন্য মানবিকতা টা ভুলে গেছে। তবেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সর্বদাই মানবিক মুখ দেখা গেছে সর্বোচ্চ দিক দিয়ে।পরিবর্তনের সরকার ক্ষমতায় এসে ‘বদলা নয়, বদল চাই’ স্লোগান তুলেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কিন্তু রাজ্য়ে পালাবদল হলে সেই পথে হাঁটবে না বিজেপি। সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষের ফেসবুক পোস্টে ফুটে উঠেছে সেই স্লোগান। যেখানে লেখা রয়েছে- ‘বদলাও হবে, বদলও হবে’। স্বাভাবিকভাবেই দিলীপ ঘোষের এই পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।রাজ্য়ের রাজনীতির সাম্প্রতিক ছবি বলছে,মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র হত্যার অভিযোগ করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ বহু জায়গায় বলেছেন,জোর করে পুলিশ দিয়ে তাদের কর্মীদের জেলে ঢোকানো হচ্ছে। বিজেপি করলেই গাজার মামলা দিয়ে গ্রেফতার করছে পুলিশ। অথচ মুখ্য়মন্ত্রী বলছেন বদলা নয় বদল চান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ে সর্বদাই সাক্ষীও ভালো কাজের নিদর্শন দিয়ে গেছেন বাংলা পুলিশের একাংশরা।সত্য কথা বলার পরিস্থিতি এই বাংলায় রাখেনি কেউ।সত্য কথা বলতে পারে না, এমনই অভিযোগ বরাবর বাংলার বুকে রয়েছে রাজনৈতিক শাসকদলের বিরুদ্ধে।বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিতে চলেছে বাংলার বুকে। বিজেপি যেভাবে একের পর এক শাসাচ্ছে বর্তমানে ক্ষমতায় না থেকেও, ক্ষমতায় এলে তাহলে এরা ধরাকে সরা মনে করবে না। এমনি অভিমত প্রকাশ করছেন রাজ্যের জনগণ একাংশ। সেই কারনে সত্যের জন্য কেউ লড়াই করে না, ব্যতিক্রমী কিছু মানুষ যারা সত্যের পথে আজও চলছে। তেমনি সত্যের পথ অবলম্বন করি মানুষের পাশে আইপিএস অজয় রানাডে এর ভূমিকা অনেকটাই স্বচ্ছ! আজ তিনি পুলিশ পরিকল্পনায় অতিরিক্ত ডিজি হিসেবে কাজ করছেন। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে শ্রদ্ধা করেন। পুলিশের ভালো কাজের ভূমিকায় একটা স্মরণীয় নাম অজয় রানাডে।বাংলার মানুষ আজও চাই এরকম সৎ পুলিশের আইপিএস অফিসার গুলোকে ,বাংলার সঠিক এবং মেন পদে থাকতে পারে তার অনুরোধ জানিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তবে এমনই নিষ্ঠাবান পুলিশ অফিসার গুলো আজ অনেকেই পুলিশের মেন পদে নেই। আর ভবিষ্যতে সৎ ও নিষ্ঠাবান আইপিএস অফিসার গুলো কি পুলিশের মেন পদে আসার সুযোগ করে দেবেন না, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এমনই প্রশ্ন রাজ্যের জনগণের মুখে মুখে প্রকাশ পাচ্ছে।
সত্যের ঘরে ভাত নেই , আর মিথ্যাবাদী ঠকবাজ দেব ঘরে ভাত আছে। এই প্রবাদ বাক্যটি সাথে আজ বাংলার আইপিএসদের ভূত-ভবিষ্যৎ চাবিকাঠি যেন মিল রয়ে গেছে। ভালো কাজ করলে পুলিশের মেন পদ থেকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে ,শাসক দলের একাংশ নেতৃত্বরা। আমলাতন্ত্রের উপরে এনে অবিচারের কারণ বাংলায় আজ এত অবনতি এমনই অভিমত রাজ্যের জনগণের।এদিকে সম্প্রীতি বিজেপির ‘বাংলা বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও’ কর্মসূচিতে শুক্রবার রাজ্যের মোট ৮০টি এসডিও অফিসের সামনে ধরনা-বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির নেতা-কর্মীরা। মেয়ো রোডে ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya), রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা-সহ অন্যান্যরা। সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বলেন, “বাংলায় গণতন্ত্রের গলা টিপে হত্যা করা হচ্ছে। ভোটে হেরে যাবে এই ভয়ে পুরভোট করাননি মুখ্যমন্ত্রী।” ব্যালটে ভোট ইস্যুতে বিজেপি সাংসদ বলেন, “২০১৬ সালে ইভিএমে জিতেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন হঠাৎ ব্যালট চাইছেন। ভোটে ইভিএমে হোক বা ব্যলটে, দু’টোতেই হারাব।” এরপরই বাম আমলের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “CPM বিরোধীদের আটকাতে যা করেছে, তৃণমূলও ঠিক তাই করছে। খুন, হামলা এসব করে চলছে। পুলিশ দিয়ে বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। সন্ত্রাস চলছে রাজ্যে।এরাজ্যে বিধায়করাও সুরক্ষিত নয়। তাই পথে নামতে বাধ্য হচ্ছি আমরা।” গণতন্ত্র প্রসঙ্গে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজতে হবে গণতন্ত্রকে!মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বরাবর জল ঢেলে দিয়েছে, ভালো কাজ করে দেখিয়ে দিয়েছে রাজ্যের জনগণকে।রাজ্যের পুলিশ ‘সৎ এবং নিরপেক্ষ’, সেই সঙ্গে মানবিকও। এমন ‘বঙ্গ-বীরভূমির’ পুলিশের বিরুদ্ধে কুৎসা ও সমালোচনা করছেন যাঁরা, তাঁদের সামনে মাথা উঁচু করে ‘বীরদর্পে’ কাজ করার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।রাজ্য সরকার পুলিশ বাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাতে ১ সেপ্টেম্বর পুলিশ দিবস ঘোষণা করেছিলেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে সেই দিন অনুষ্ঠান করা যায়নি। রাষ্ট্রীয় শোকপর্ব কাটিয়ে সম্প্রীতি নবান্ন সভাঘর থেকে পুলিশ দিবস পালন করল রাজ্য সরকার। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে পুলিশ বাহিনীর সেপাই থেকে মহানির্দেশক সকলেই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগ দেন।এদিকে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রও কথায়, ‘‘গত ১০ বছরে পুলিশের কল্যাণে যা হয়েছে তার সব সব কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর অনুপ্রেরণাও মুখ্যমন্ত্রী।’’ যে ভাবে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ও পুলিশ বাহিনীর ভুল ধরিয়ে অনুপ্রাণিত করেছেন তাতে পুলিশ কর্মীরা আগামী দিনে মুখ্যমন্ত্রী পাশে থাকবেন বলেও তিনি বিশ্বাস করেন বলে পুলিশ প্রধান এ দিন জানান। কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাও বলেন, ‘‘পুলিশের কাজের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তিনি বাহিনীর পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ।’’এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কোনও কাজ না-করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে শুধু গালি দেওয়া! করোনা-আমপানে যে পুলিশ বাহিনী লড়ছেন, তাঁদের পাশে না-দাঁড়িয়ে পরিবার, ছেলেমেয়েদেরও গালি দিচ্ছেন কী করে? এরা সব পাষণ্ড, নিপীড়ক, শোষকের দল।’’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ পুলিশ আছে বলে আপনিও শান্তিতে আছেন। পুলিশ আপনার বাড়ি, গাড়ি পাহারা দিচ্ছে। চায়ের দোকানে চা খাচ্ছেন, পুলিশ ঘিরে রাখছে। আর সেই পুলিশের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। হুমকি দিচ্ছেন।