আন্তর্জাতিক

অস্ট্রেলিয়াজুড়ে করোনাভাইরাস টিকা বিরোধী বিক্ষোভ

অস্ট্রেলিয়াজুড়ে করোনাভাইরাস টিকা বিরোধী বিক্ষোভ - West Bengal News 24

অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাস টিকাদান কর্মসূচী শুরু হওয়ার আগে এর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
শনিবার দেশটির মেলবোর্ন, সিডনি ও ব্রিসবেনসহ বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং প্রতিবাদকারীরা ‘আমার দেহ, আমার পছন্দ’ বলে শ্লোগান দিয়েছেন, জানিয়েছে বিবিসি।

প্রতিবাদগুলো প্রায় শান্তিপূর্ণ হলেও মেলবোর্নে পুলিশ বেশ কয়েকজন প্রতিবাদকারীকে আটক করেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সোমবার থেকে ফাইজারের টিকা ব্যবহার করে দেশটির জাতীয় টিকাদান কর্মসূচী শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

গত সপ্তাহের মাঝমাঝি অস্ট্রেলিয়ার ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎপাদিত করোনভাইরাস টিকারও শর্তাধীন অনুমোদন দিয়েছে। দেশটিতে আগামী মাস থেকে এই টিকা সরবরাহ শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন : মিয়ানমারে অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভে গুলি, নিহত ২

উভয় টিকাই ব্যাপক নিরাপত্তা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েছে এবং বেশ কয়েকটি দেশে এগুলোর ব্যবহারও শুরু হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম এবিসি জানিয়েছে, সব মিলিয়ে প্রতিবাদগুলোতে কয়েক হাজার লোক যোগ দিয়েছে।

মেলবোর্নে কিছু প্রতিবাদকারী পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়, পুলিশ পেপার স্পে ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে ও বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১৫ জন কোভিড-১৯ আইন লঙ্ঘনের দায়ে জারিমানার বিজ্ঞপ্তি পাবেন, অপর পাঁচ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার বাধা দান, পুলিশকে বাধা দেওয়া ও বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকার করার অভিযোগ আনা হবে।

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক খ্যাতিমান শেফ পিট এভেন্স সিডনির প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন। করোনাভাইরাস সম্পর্কে বারবার ভুল তথ্য শেয়ারের জন্য তাকে ইনস্টাগ্রাম ও ফেইসবুক থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।

সিডনিতে প্রতিবাদকারীরা টিকা দেওয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পোস্টার বহন করেন।

এ ধরনের একটি পোস্টরে লেখা ছিল, “আমি পরোয়া করি না, আপনি টিকা চান, টিকা নিন কিন্তু এটি নেওয়ার জন্য আমাকে জোর করবেন না।”

অস্ট্রেলিয়ায় বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হলেও এটি নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই চল্লিশ লাখ লোককে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে দেশটি।

প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্য খাত, সীমান্তে আইন প্রয়োগকারী ও কেয়ার হোমগুলোর ফ্রন্টলাইলে থাকা সাত লাখ কর্মীর সঙ্গে কেয়ার হোমগুলোতে বসবাসকারীদের টিকা দেওয়া হবে।

মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এ পর্যন্ত ২৯ হাজার কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে আর এদের মধ্যে ৯০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button