ঝাড়গ্রাম: তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতোকে প্রণাম করে ভোটে জেতার জন্য তাঁর সাহায্য চাইলেন ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সাঁওতালি সিনেমার অভিনেত্রী বিরবাহা হাঁসদা। সূত্রের খবর, রবিবার লালগড়ের আমলিয়া গ্রামে ছত্রধর মাহাতোর বাড়িতে আচমকা হাজির হন বিরবাহা। সঙ্গে ছিলেন জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি দুর্গেশ মল্লদেব সহ কয়েকজন মহিলা কর্মী।
সম্পর্কে ছত্রধর বিরবাহার মামা হন। বিরবাহার মা ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-এর সভানেত্রী চুনিবালা হাঁসদার সঙ্গে ছত্রধরের দিদি-ভাইয়ের সম্পর্ক বহুদিনের। বিরবাহা আগে তাঁর মায়ের দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত বুধবার বিরবাহা মায়ের দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। কলকাতায় বিরবাহার হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার প্রকাশিত হয় তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা। ঝাড়গ্রাম সাধারণ আসনে বিরবাহাকে প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঝাড়গ্রাম বিধানসভার মধ্যে রয়েছে লালগড় ব্লক। একসময় লালগড় আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছত্রধর হয়ে ওঠেন জঙ্গলমহলের প্রতিবাদী মুখ। বাম আমলে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রদ্রোহ ও নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন ছত্রধর। ইউএপিএ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হন তিনি। প্রায় ১১ বছর জেলে থাকার পরে হাইকোর্ট তাঁর সাজার মেয়াদ কমানোয় গত বছরের গোড়ায় জেলমুক্ত হয়ে ছত্রধর এলাকায় ফেরেন। পরে যোগ দেন তৃণমূলে।
গত বছর ছত্রধরকে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকের পদ দেন মমতা। আসন্ন বিধানসভা ভোটে জঙ্গলমহলে দলের মুখ তিনি। সেই ছত্রধরের সমর্থন ছাড়া ভোট বৈতরণী পেরোনো যে সম্ভব নয় সেটা বুঝেছেন বিরবাহা। তিনি বলছেন, “মামা আমার হয়ে প্রচার করবেন বলে জানিয়েছেন। আমি খুব নিশ্চিন্ত বোধ করছি।” ছত্রধর বলেন, “বিরবাহা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী। তাই ভাগ্নীকে জেতাতে জোরদার প্রচারে নামব।” ছত্রধরের স্ত্রী নিয়তি মাহাতো বলেন, “বঙ্গধ্বনি যাত্রা কর্মসূচিতে আগেই বিপুল সাড়া পেয়েছি। আর বিরবাহা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী। এলাকার মানুষ উন্নয়নের জন্য নেত্রীর প্রার্থীকেই বিপুল ভোটে জেতাবেন।”