আন্তর্জাতিক

সন্ত্রাসের কারণ দেখিয়ে বিশ্বের ১৬ দেশে হিজাব নিষিদ্ধ

সন্ত্রাসের কারণ দেখিয়ে বিশ্বের ১৬ দেশে হিজাব নিষিদ্ধ - West Bengal News 24

কে বোরকা পড়বে আর কে বিকিনি পড়বে এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। পোশাকের ভেতরে নারীকে বস্তু বা পণ্য মনে করলেই সমস্যা হয় কে কি পড়বে। ধর্মীয়ভাবে অনুসারীরা হিজাব পড়লে তা বাধা দেওয়ার মানে হচ্ছে তার ধর্মপালনে বাধা দেওয়া। এটি তার বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কিত।

তিউনিশিয়া, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, তাজিকিস্তান, বুলগেরিয়া, ক্যামেরন, চাদ, কঙ্গো, ব্রাজাভিল্লি, গ্যাবন, নেদারল্যান্ড, চীন, মরোক্কো, শ্রীলঙ্কা ও সুইজারল্যান্ডে বোরকা পড়ে সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটিয়েছে এমন কয়টি উদাহরণ আছে আমাদের জানা নেই।

পুঁজিবাদী বিশ্বে মানুষকে পণ্য করে তোলার যে ব্যবসায়ীক কারসাজি, তাতে হিজাব বা বোরকা এক বিশাল বাধা সৃষ্টি করে। নারীকে যতটা নগ্ন করে তোলা যায় ততটা তাদের পণ্য বিক্রির বহর বেড়ে যায়। আবার হিজাব নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসাও হচ্ছে।

রাজনীতি কারো পোশাক তালিকা তৈরি করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। এটি রুচি ও পছন্দের বিষয়। কেউ যদি হিজাবকে শালীনতা মনে করে পরেন, আত্মবিশ্বাস পান তাহলে তো তা নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষেই যায়।

আরও পড়ুন: ৪ মিনিটেই পিসিআরের মতো নির্ভুলভাবে জানতে পারবেন করোনা টেস্টের ফল

পিউ রিসার্চের জরিপ অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লাখ মুসলিম নারীর মধ্যে ৪৩ শতাংশ নিয়মিত হিজাব পরিধান করেন। তার মানে অর্ধেকের বেশি পরেন না। আবার কোনো দেশে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। যুক্তরাষ্ট্রে ৬৯ শতাংশ নারী যারা হিজাব পরেন তারা অন্তত কোনো না কোনো সময় একবার বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।

আবার ২৯ শতাংশ নারী হিজাব না পরেও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এলমাক নামে এক নারী বলেন, ‘আমার মনে হয় হিজাব হল অন্য মানুষের থেকে সুরক্ষা, আমার কাউকে দরকার নেই। আমি হিজাব দিয়ে কথা বলতে পারি এবং সুরক্ষিত বোধ করতে পারি। আমি সর্বত্র আমার সাথে আল্লাহকে অনুভব করি।’

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button