আন্তর্জাতিক

আবারও পরিবারতন্ত্রের কবলে পাকিস্তান

Pakistan : আবারও পরিবারতন্ত্রের কবলে পাকিস্তান - West Bengal News 24

ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে জিতে পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী পরিবারতান্ত্রিক শাসনের ইতিহাস বদলে দিয়েছিলেন ইমরান খান। ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া এ নেতার হাতে তথাকথিত এলিট শাসনব্যবস্থার পতন হয়েছিল বলে মনে করতেন অনেকে। কিন্তু পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেই নতুন ধারা বেশিদিন স্থায়ী হলো না। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে আবারও পরিবারতান্ত্রিক শাসনে ফিরে গেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।

সোমবার (১১ এপ্রিল) পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনেকটা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন শাহবাজ শরিফ। তিনি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই।

শরিফ পরিবারের নওয়াজ একাই পাকিস্তানকে তিন মেয়াদে প্রায় নয় বছর শাসন করেছেন। ভুট্টো পরিবারের কয়েকজন পাকিস্তানকে শাসন করেছেন প্রায় ১২ বছর।

আরও পড়ুন :: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েই সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন বাড়ালেন শাহবাজ

এভাবে কয়েক দশক ধরে দেশটির রাজনীতিতে যে পরিবারতন্ত্র জেঁকে বসেছিল, ২০১৮ সালে তাতে ধস নামান ইমরান খান। নির্বাচনে জিতে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর পুত্র বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কয়েক দশকের শাসনের অবসান ঘটান তিনি। এর আগের রাজনৈতিক জীবন খুব দীর্ঘ না হলেও ইমরানের এ অর্জন বিশ্বব্যাপী আলোচনার জন্ম দেয়।

পাকিস্তানের আধা-সামন্তবাদী সমাজব্যবস্থা ও রাজনীতির স্তরে স্তরে পিতৃতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র ও আত্মীয়করণ বিরাজ করে আসছে। বিশেষ করে গত কয়েক দশকে দেশটির রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রই সবচেয়ে বেশি প্রভাব খাটিয়েছে। এই মুহূর্তে ক্ষমতাসীন প্রধান দুই দল মুসলিম লীগ (নওয়াজ) এবং পাকিস্তান পিপল’স পার্টি উভয়ের ক্ষেত্রেই এটি বাস্তব।

২০১৭ সালে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ‘অযোগ্য’ ঘোষিত হয়ে নওয়াজ শরিফ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই তার ছোট ভাই শাহবাজকে নেতৃত্বে বসানোর প্রবণতা দেখা যায়। শাহবাজের পর সিরিয়ালে রয়েছেন নওয়াজকন্যা মরিয়ম নওয়াজ, এরপর মরিয়মের ছেলে জুনায়েদ সফদার। আলোচনায় রয়েছেন শাহবাজের ছেলে হামজা শাহবাজ শরিফও।

কেবল নওয়াজ পরিবারই নয়, পাকিস্তানে পরিবারতন্ত্রের ধারা বয়ে নিয়ে যাচ্ছে ভুট্টো পরিবার ও তাদের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপল’স পার্টিও (পিপিপি)। ২০০৭ সালে দলীয় নেত্রী ও পাকিস্তানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর মৃত্যুর পর দলটি দিশা হারিয়ে ফেলে।

পিপিপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বেনজির ভুট্টোর বাবা জুলফিকার আলী ভুট্টো। দলটি প্রায় চার দশক পাকিস্তানের রাজনীতিতে ছড়ি ঘুরিয়েছে। কিন্তু বেনজির ভুট্টোর মৃত্যুর পর তার ছেলে বিলাওয়াল দায়িত্ব নিলেও দলের শক্তি কমতে থাকে। তবে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত কার ক্ষেত্রে পিপিপির বড় ভূমিকা রয়েছে। শাহবাজের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাকিস্তানে আবারও পরিবারতান্ত্রিক শাসন ফিরিয়ে এনেছেন বিলওয়াল।

আরও পড়ুন ::

Back to top button