ঝাড়গ্রাম

বেলপাহাড়িতে বেহাল পথে নাকাল পর্যটক

স্বপ্নীল মজুমদার

বেলপাহাড়িতে বেহাল পথে নাকাল পর্যটক

বেলপাহাড়ি: পর্যটকদের কাছে ঝাড়গ্রাম জেলার মূল আকর্ষণ হল বেলপাহাড়ি। অথচ বেলপাহাড়ির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র যাওয়ার রাস্তার বেহাল অবস্থা। বেলপাহাড়ি থেকে ওদলচুয়া হয়ে কাঁকড়াঝোর যাওয়ার পিচ রাস্তায় তৈরি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। বিশেষত, বেলপাহাড়ি থেকে বদাডি পর্যন্ত পাঁচ কিমি রাস্তায় গাড়ির ঝাঁকুনিতে পর্যটকদের প্রাণান্তকর অবস্থা। খাঁদারানি যাওয়ার কাঁচা রাস্তাটিরও খুব খারাপ পরিস্থিতি। দোমোহানি থেকে বারিঘাটি হয়ে খাঁদারানি ঝিল পর্যন্ত রাস্তাটি জলকাদায় একাকার। অবার লালজল যাওয়ার কাঁচা পাহাড়ি রাস্তাটিও জল কাদায় গাড়ি চলাচলের অযোগ্য হয়ে গিয়েছে।

বেলপাহাড়ি টুরিজ়ম অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র বিধান দেবনাথ বলছেন, ‘‘চলতি চারদিনে অসংখ্য পর্যটক আসছেন। কিন্তু বেহাল রাস্তায় যাওয়ার ঝাঁকুনিতে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন পর্যটকরা। ছোট চাকার গাড়ি গুলিও গর্তে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পুজোতেও প্রচুর পর্যটক আসবেন। রাস্তার হাল না ফিরলে শীতের পর্যটনে প্রভাব পড়তে বাধ্য।’’

পর্যটন দফতর স্বীকৃত ঝাড়গ্রাম টুরিজ়ম-এর কর্তা সুমিত দত্তও মানছেন, “বেহাল রাস্তার জন্য ট্যুর প্যাকেজ থেকে লালজলকে বাদ রাখা হয়েছে। বেহাল রাস্তার জন্য এখন কাঁকড়াঝোর পৌঁছতে অনেক বেশি সময় লাগছে। দ্রুত রাস্তাগুলির সংস্কার প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রে ঝাঁকুনি এড়াতে কাঁকড়াঝোর থেকে ফেরার সময় চাকাডোবার রাস্তা দিয়ে পর্যটকদের বেলপাহাড়িতে ফেরানো হচ্ছে।’’

প্রশাসন সূত্রের দাবি, জেলার বেহাল রাস্তা গুলি সারানোর জন্য ৫০ কোটি টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। বর্ষার পরে রাস্তার কাজ শুরু হবে।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button