পঞ্চায়েত ভোটের আগে জঙ্গলমহলেকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। এদিকে অখিল গিরির মন্তব্যকে হাতিয়ার করে পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে আদিবাসী ইস্যুতেই শান লাগাতে ব্যস্ত বিজেপি। জানা গিয়েছে, ১৫ নভেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলমহলে সভার দিনেই পাল্টা সভা ও মিছিলের পরিকল্পনা করেছে বঙ্গ বিজেপির। গোপীবল্লভপুরে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে রাজনৈতিক কর্মসূচি। মমতার সভার দিনেই বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে সবার আয়োজন করেছে শুভেন্দু অধিকারী।
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় রয়েছে বঙ্গ বিজেপির সভা। অখিল গিরির মন্তব্যকে হাতিয়ার করে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিকল্পনা করেছে বিজেপি।
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ঝাড়গ্রাম সফরের আগে, দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। নন্দীগ্রামে গিয়ে স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে দেশের রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন অখিল। সেখানে অখিল গিরি নাকি বলেন, ‘‘আমরা রূপের বিচার করি না।
তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। তোমার রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা?’’ তাই নিয়েই সংগঠিতভাবে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ শুরু করে বিজেপি। অখিলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠছেন বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। দিনভর বিক্ষোভ, প্রতিবাদে পথে নেমেছে গেরুয়া শিবির। কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় চলছে আন্দোলন।
এরই মধ্যে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, কোনও ভাবেই তাঁরা মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্যকে সমর্থন করেন না। দল নারী শক্তির পক্ষে। একইসঙ্গে এই ঘটনায় বিজেপির তীব্র নিন্দা করেন কুণাল। শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমিত্র খাঁয়ের প্রসঙ্গ তুলেও সরব হন তিনি।
এর আগেও দ্রৌপদী মূর্মূর নাম রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঘোষণা করার পর তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি৷ এবার অখিলের মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই পথে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে বিজেপি। এমনটাই অনুমান রাজনৈতিক মহলের একাংশের।