ঝাড়গ্রাম

ঝাড়গ্রাম জেলায় সরকারি উদ্যোগে হোম স্টে মালিকদের নিয়ে কর্মশালা

স্বপ্নীল মজুমদার

ঝাড়গ্রাম জেলায় সরকারি উদ্যোগে হোম স্টে মালিকদের নিয়ে কর্মশালা

ঝাড়গ্রাম জেলার হোম স্টে গুলির মালিকদের নিয়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক কর্মশালা হল বুধবার। পর্যটকদের উন্নত মানের পরিষেবা দানের লক্ষ্যে হোম স্টে গুলিকে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের সিধু কানু সভাঘরে ওই কর্মশালায় ছিলেন বন প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, জেলা সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল, পর্যটনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক ধীমান বাড়ৈ, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) পীযূষ গোস্বামী, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূবনচন্দ্র হাঁসদা, ডিএফও (ঝাড়গ্রাম) শেখ ফরিদ প্রমুখ।

‘অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রাম’ নামে জেলার পর্যটন সংক্রান্ত একটি রঙিন ব্রোশিয়র আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। জেলাশাসক বলেন, জেলায় ৯৯ টি হোম স্টে হয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন এলাকায় পরিকাঠামোর উন্নয়ন হচ্ছে। ডিএফও বলেন, ঝাড়গ্রামে চলতি মরসুমে প্রায় দু’লক্ষ পর্যটক এসেছেন।

যতদিন জঙ্গল থাকবে, বন্যপ্রাণ থাকবে, পর্যটকরাও আসবেন। তাই বন ও বন্যপ্রাণ রক্ষা করতে হবে। জঙ্গলে যেন পর্যটকরা না যান। কারণ বনকর্মী, পুলিশ ও বন সুরক্ষা কমিটির লোকজন ছাড়া আর কারো জঙ্গলে যাওয়ার অধিকার নেই। জঙ্গলে ঢুকলে বন দফতর কেস করবে। সেক্ষেত্রে জেল ও জরিমানা হতে পারে।

পর্যটনের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় মালাকার, ঝাড়গ্রাম ডিস্ট্রিক্ট হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মধুসূদন কর্মকার, ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল প্রোভাইডার রৌনক সোমানি, ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজমের সুমিত দত্ত প্রমুখ হোম স্টে গুলিকে আরও ভালোভাবে চালানো ও পর্যটকদের উন্নত পরিষেবা দেওয়ার বিষয়ে আলোকপাত করেন।

এদিন জেলার ২৭টি হোটেলের মালিকদের হাতে সরাই লাইসেন্স তুলে দেওয়া হয়। হোটেল ও হোম স্টে গুলির এই লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। জেলার বেশির ভাগ হোটেল ও হোম স্টে গুলির এই লাইসেন্স নেই। সেজন্য জেলাশাসক সব হোটেল ও হোম স্টে মালিকদের সরাই লাইসেন্স করানোর পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button