পঞ্চম বিয়ে থেকে সরে এলেন ৯২ বছর বয়সী মারডক
মিডিয়া মোগল ও ধনকুবের রুপার্ট মারডক। ৯২ বছর বয়সে পঞ্চমবারের মতো বিয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। ৬৬ বছরের অ্যান লেসলি স্মিথের সঙ্গে বাগদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন দুই সপ্তাহ আগে। কিন্তু সেই বিয়ে করছেন না মিডিয়া মোগল।
কথা ছিল আসছে গ্রীষ্মের শেষেই যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হবে। তবে এর আগেই আকস্মিকভাবে নিজেদের বাগদান বাতিল করেছেন রুপার্ট মারডক ও অ্যান লেসলি স্মিথ।
মার্কিন মিডিয়া রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাত্রী অ্যান লেসলি স্মিথ স্পষ্টভাষী স্বভাবের। খ্রিষ্টীয় রক্ষণশীল চিন্তাধারার মানুষ তিনি। যা নিয়ে মারডক খুব অস্বস্তিতে ভুগছিলেন।
অবশ্য এই বয়সে বিয়ে নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে মারডক বলেন, ‘আমি ভীষণ নার্ভাস ছিলাম। আমি আবার প্রেমে পড়তে ভয় পেতাম… কিন্তু এটাই শেষ বার। এবার ভালো হবে। আমি ভীষণ খুশি।’
অন্যদিকে পেশায় সাবেক পুলিশ চ্যাপলেইন অ্যান লেসলি স্মিথের প্রয়াত স্বামীর নাম চেস্টার স্মিথ। তিনি ছিলেন গায়ক এবং রেডিও ও টিভি এক্সিকিউটিভ। ১৪ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে একাই ছিলেন তিনি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে অ্যানের সঙ্গে রুপার্টের প্রথম দেখা হয়। এরপর স্মিথের সঙ্গে তার বাগদান গত মাসেই ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, নিউজ করপোরেশনের নির্বাহী চেয়ারম্যান রুপার্ট মারডক। মাত্র ২২ বছর বয়সে সংবাদপত্রের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। বিশ্বের ৫টি দেশে ১২০টি পত্রিকার মালিক রুপার্ট ও তার এই পরিবারের সদস্যরা। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পোস্ট, ফক্স নিউজ, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ইংল্যান্ডের দ্য সান ও দ্য টাইমসের মালিক রুপার্ট।
মারডক প্রথম বিয়ে করেছিলেন ১৯৫৬ সালে, অস্ট্রেলিয়ান বিমান সেবিকা প্যাট্রিসিয়া বুকারকে। ১৯৬৭ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। ওই বছরই স্কটিশ বংশোদ্ভূত সাংবাদিক আন্না মানকে বিয়ে করেন তিনি। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তাঁদের সংসার টিকেছিল।
এরপর চীনা বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা ওয়েন্ডি ডেংকে বিয়ে করেন রুপার্ট। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তাঁরা সংসার করেন। এরপর ওয়েন্ডির সঙ্গেও বিচ্ছেদ হয় মারডকের।
২০১৬ সালে লন্ডনে রুপার্ট বিয়ে করেন সাবেক সুপার মডেল জেরি হলকে। গত বছর তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে। রুপার্ট মারডকের ছয় সন্তান।
লেসলি স্মিথকে বিয়ে করলে এটি হতো মারডকের পঞ্চম বিয়ে।