বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মহিলাকে বালিশ চাপা দিয়ে খুনের চেষ্টা ও চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হল পরিচারিকা। ঝাড়গ্রাম শহরের বলরামডিহি এলাকার ঘটনা। ধৃত বছর তেইশের অঞ্জনা মাহাতোর বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদাবিলা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের বলরামডিহি এলাকায় লতা শীট নামে অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষিকার বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করত অঞ্জনা। সম্প্রতি অঞ্জনাকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেন লতাদেবী। তারপরও অঞ্জনা বেশ কয়েকবার এসে কাজ করতে চাইত। কিন্তু অঞ্জনাকে কাজে রাখতে চাননি লতাদেবী।
১০ এপ্রিল ওই লতাদেবী ভুবনেশ্বরে তাঁর মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। শহরে ফাঁকা বাড়িতে প্রায়শই চুরির ঘটনা ঘটে। তাই তিনি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বছর চল্লিশের ননদ পূর্ণিমা শীটকে বাড়িতে রেখে যান। বৃহস্পতিবার সকালে অঞ্জনা লতার বাড়িতে আসেন। জোর করে কাজ করতে গেলে পূর্ণিমার সঙ্গে অঞ্জনার কথা কাটাকাটি হয়।
এরপরই অঞ্জনা পূর্ণিমাকে বালিশ চাপা দিয়ে মারার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। রুটি বেলার বেলনা দিয়ে পূর্ণিমার মাথায় আঘাত করে অঞ্জনা। পূর্ণিমা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গেলে সোনার গয়না ও কিছু টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় অঞ্জনা। পূর্ণিমাকে খাবার দিতে এসে এক আত্মীয় তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে থাকতে দেখেন।
পূর্ণিমাকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ জানান লতা। বৃহস্পতিবার রাতেই অঞ্জনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার অঞ্জনাকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে বিচারক চারদিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।