জানা-অজানা

অমরত্বের খুব কাছকাছি যেসব প্রাণী

অমরত্বের খুব কাছকাছি যেসব প্রাণী

পৃথিবীর প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। জন্মাইলে মরিতে হইবে। এটাই বাস্তব সত্য। সৃষ্টির মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। তারপরও কিছু প্রাণীর মৃত্যু নিয়ে বর্তমানে গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, ঐ সকল প্রাণী নাকি অমরত্বের খুব কাছকাছি অবস্থান করছে। রিডার্স ডাইজেস্ট অবলম্বনে তেমন কিছু প্রাণী নিয়েই একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে রাইজিং বিডি। প্রতিবেদনটি হুবুহু তুলে দেয়া হলো-

কচ্ছপ:
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শরীরে কোনো ধরনের রোগ ছাড়াই একটি কচ্ছপ শতাব্দীর পর শতাব্দীর বেঁচে থাকে। গবেষণায় দেখা যায়, কয়েক শতাব্দী ধরে বেঁচে থাকার পরও কচ্ছপের শরীরে কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় না।

লবস্টার প্রজাতির চিংড়ি:
লাল প্রজাতির এই চিংড়ি বায়োলজিক্যালি অমর কিনা, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে- মৃত্যুর কারণ বয়স নয়, বরং রোগ। অন্যান্য প্রাণী যেখানে পূর্ণ বয়স্ক হয় এবং মারা যায়, সেখানে লবস্টার বছরের পর বছর বেঁচে থাকে এবং শরীর পুনর্গঠন হয়। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে এই জাতের একটি চিংড়ি পাওয়া গেছে, যার বয়স প্রায় ১৪০ বছর।

টুরিটোপসিস ধোমি প্রজাতির জেলিফিস:
অমরত্বের কাছাকাছি অবস্থান করা প্রাণীদের মধ্যে উপরের দিকে অবস্থান করছে টুরিটোপসিস ধোমি প্রজাতির জেলিফিস। এটি ইমর্টাল বা অমর জেলিফিশ হিসেবে পরিচিত। ন্যাশনাল জিওগ্রাফির মতে, এই জেলিফিস মৃত্যুকে ফাঁকি দিতে পারে কারণ তারা তাদের বয়স নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এছাড়া জেলিফিস যদি কোনো কারণে আহত হয় তবে তারা তিনদিনের মধ্যে তাদের কোষগুলোকে একদম তরুণ অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে।

ফ্ল্যাটওয়ার্ম:
নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায়, প্লানারিয়ান নামের ফ্ল্যাটওয়ার্ম পুনর্জন্ম ক্ষমতাসম্পন্ন। এমনকি এই ফ্ল্যাটওয়ার্মকে কেটে দুইভাগ করলেও এর প্রতিটি ভাগই বেঁচে থাকে।

টারডিগ্রেড:
টারডিগ্রেড হচ্ছে, অতি ক্ষুদ্র ভাইরাস। এই জীব এতই ছোট যে একে শুধু মাইক্রোস্কোপ দিয়েই দেখা যায়। এই আট পা ওয়ালা প্রাণী যা জলে ভাসমান অবস্থায় থাকে, এটি চরমভাবে টিকে থাকা একটি প্রাণী। এটি ৩০ বছর পর্যন্ত বিনা খাদ্য গ্রহণে বেঁচে থাকতে পারে। তাছাড়াও এটি শূন্য ডিগ্রি থেকে হাজার ডিগ্রি তাপমাত্রায় বেঁচে থাকে। এমনকি এটি মহাশূন্যেও বেঁচে থাকতে পারে।

বিকিরণ-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া:
একজন মানুষ যেখানে মোটামুটি ধরনের গামা বিকরণে মারা যেতে পারে সেখানে এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া মানুষের চেয়ে ১.৫ মিলিয়ন গুণ বেশি গামা বিকিরণ সহ্য করে বেঁচে থাকতে পারে। বায়োকুয়ার্ক ইঙ্ক. এর সিইও এস প্যাস্টর বলেন, ‘এই ধরনের ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ কখনো ধ্বংস করা যায় না, ফলে তা থেকে নতুন করে ওই ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়।’

তিমি:
যদিও তিমিকে অমরণশীল প্রাণী বলা যাবে না। তবে তিমি হচ্ছে, সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বেঁচে থাকা স্তন্যপায়ী প্রাণী। পপুলার সায়েন্সের এক গবেষণায় দেখা গেছে, তিমির কিছু প্রজাতি সত্তর বছর বাচঁলেও কিছু কিছু তিমি দুইশত বছরের অধিক সময় বেঁচে থাকে।

তথ্যসূত্র: বিডিলাইভ২৪

আরও পড়ুন ::

Back to top button