ঝাড়গ্রামটলিউড

প্রয়াত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ছবি এঁকে শ্রদ্ধা-তর্পণ শিল্পীর

স্বপ্নীল মজুমদার

প্রয়াত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ছবি এঁকে শ্রদ্ধা-তর্পণ শিল্পীর

ঝাড়গ্রাম: শিল্পীর অনুভূতির প্রকাশ পায় তাঁর শিল্পকর্মে। সদ্য প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শ্রদ্ধা জানাতে অভিনব পথ বেছে নিলেন ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট শিল্পী মানব বাগচী। একরাতের মধ্যে সৌমিত্রের একটি অসাধারণ পোট্রেট এঁকেছেন মানববাবু।

সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করতেই নেটিজেনরা ভরিয়ে দিয়েছেন লাইকে আর প্রশংসায়। মানববাবুর আঁকা প্রবীণ সৌমিত্রের ছবিটি দেখলে মনে হবে যেন ক্যামেরায় তোলা ছবি। বিশিষ্টজনের প্রয়াণে এভাবেই শ্রদ্ধা জানান মানববাবু।

তাঁর বাড়ি লাগোয়া স্টুডিয়ো ‘আর্টস হেভেন’-এ রয়েছে বহু প্রয়াত ও সমকালীন বিশিষ্টজনের পোট্রেট। নিজের আঁকা সৌমিত্রের ছবিটি পোস্ট করে মানববাবু লিখেছেন, ‘কিংবদন্তী শিল্পীর প্রতি আমার শ্রদ্ধার্ঘ‍্য’। মানববাবু ছবি আঁকার পাশাপাশি অসাধারণ মূর্তি তৈরি করেন।

এবার ভেষজ বিশ্বকর্মা গড়ে চমক দিয়েছিলেন। এছাড়া এবছরের দুর্গা পুজোয় মানববাবুর তৈরি ‘করোনাসুরনাশিনী’ মূর্তিটি বাছুরডোবা ইয়ং ইলেভেনের মণ্ডপের বিশেষ আকর্ষণ ছিল। ফেসবুকে ওই মূর্তির ছবি পোস্ট করে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: সৌমিত্রকে নিয়ে রুদ্রনীলের আফসোস

বছর দেড়েক আগে মানববাবুর তৈরি সিধু কানু ও বিরসা মুন্ডার পূর্ণবয়ব মূর্তি ঝাড়গ্রাম শহরের রাস্তায় পুরসভার উদ্যোগে বসানো হয়েছে। মানববাবুর একমাত্র ছেলে তাতান একালের একজন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। করোনা অবহের কারণে কলকাতাবাসী তাতান এখন ঝাড়গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন।

সঙ্গীতচর্চার পাশাপাশি, বাবাকে সাহায্যও করেন তাতান। মানববাবুর স্ত্রী স্থিতা পাল বাগচী দহিজুড়ি মহাত্মা বিদ্যাপীঠের শিক্ষিকা। স্থিতাদেবী একজন প্রতিষ্ঠিত আবৃত্তিকার ও বাচিকশিল্পীও। স্বামী ও ছেলের যুগলবন্দিতে রোজই তৈরি হচ্ছে নানা শিল্পকর্ম। স্থিতাদেবী বলেন, ‘‘বাড়িতে শিল্পচর্চার পরিমণ্ডলের মাঝে করোনা-কালের সব কষ্ট, ভয়, উদ্বেগ ভুলে আছি!’’

আরও পড়ুন ::

Back to top button