পর পর ১৩ ছাত্রীকে ধর্ষণ! ‘অমানুষ’ শিক্ষককে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত
রক্ষকই হয়ে উঠল ভক্ষক। সমাজ গড়ার দায়িত্ব যাঁদের হাতে, তারাই যদি করে এই কাজ তাহলে বাকিরা কি শিখবে উঠছে প্রশ্ন! ইন্দোনেশিয়ার এক শিক্ষককে ১৩ জন ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।
নৃশংস কাজের সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। জানা গেছে ইন্দোনেশিয়ার এক ইসলামিক স্কুলের শিক্ষক ছিল অভিযুক্ত হ্যারি উইরাওয়ান। জানা গেছে ওই শিক্ষকের কুকীর্তির কথা ফাঁস হতেই স্কুল তাকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে। এরপর নির্যাতিতার পরিবাররা একযোগে মামলা দায়ের করে। সেই মামলাতেই আদালত দিল মৃত্যুদণ্ড।
তবে এক নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, ‘আমরা চেয়েছিলাম, আজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হোক। সঙ্গে নিয়মিত রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করা হোক দোষীর শরীরে। তাতে যন্ত্রণা আরও বেশি পেত অভিযুক্ত।’ অপরাধী গত ফেব্রুয়ারি থেকেই জেলে রয়েছে। চলছিল মামলা। সোমবার আদালত মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করে। অভিযুক্তের আইনজীবী এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। তবে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা করছেন হ্যারির আইনজীবী।
২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অন্তত ১৩ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। নির্যাতিতাদের বয়স ১২-১৬ এর মধ্যে। তার মধ্যে আটজন নাবালিকা আবার ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এই জঘন্য কাজের জন্য আদালত দোষীকে আজীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দিয়েছিল। কিন্তু সরকারী আইনজীবীর সওয়ালের পর আদালত মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায়।