সুবর্ণরৈখিক রেলপথ সংগ্রাম কমিটি ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের সহযোগিতায় পাঁচ মাস পর বাড়ি ফিরলেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক।
বুলু মহানন্দা নামে বছর ছাব্বিশের ওই যুবকের বাড়ি ওড়িশার বড়গড় জেলার আতাবেড়িয়া থানার তিঙ্গিপল্লী গ্রামে। কিছুদিন আগে তাঁকে কলকাতার বালিগঞ্জে দেখতে পান গোপীবল্লভপুর থানার আলমপুরের বাসিন্দা পেশায় রেলকর্মী প্রসেনজিৎ খোর্দ্দা।
প্রসেনজিৎ কর্মসূত্রে বালিগঞ্জে থাকেন। তিনি সুবর্ণরৈখিক রেলপথ সংগ্রাম কমিটির সদস্য। বুলুকে বাড়ির সামনে অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখে মানবিকতার পরিচয় দেন প্রসেনজিৎ। চিকিৎসা করিয়ে বাড়িতে রেখে খাইয়ে দাইয়ে বুলুকে সুস্থ করে তোলেন তিনি।
এর পর বুলুর সঙ্গে কথা বলে তাঁর গ্রামের ঠিকানা জানতে পারেন। এরপর প্রসেনজিৎ আতাবেড়িয়া থানায় ফোন করে যোগাযোগ করেন। বুলুর ঘটনাটি কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর থানাতেও জানানো হয়। এরপরই বুলুকে বাড়ি ফেরাতে উদ্যোগী হন প্রসেনজিৎ। প্রসেনজিতের পরিচিত গোপীবল্লভপুরের ছাতিনাশোলের বাসিন্দা তথা সুবরণরৈখিক রেলপথ সংগ্রাম কমিটির সদস্য শ্রীকান্ত বধূক ও কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধি গৌতম মণ্ডল বৃহস্পতিবার বুলুকে নিয়ে ট্রেনে রাতে হীরাকুঁদ স্টেশনে পৌঁছন।
আতাবেড়িয়া থানার পুলিশ গাড়ি পাঠয়ে তাঁদের নিয়ে যায় তিঙ্গিপল্লী গ্রামে। পাঁচ মাস পর বুলুকে ফিরে পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে তার পরিবার।
সুবর্ণরৈখিক রেলপথ সংগ্রাম কমিটির সভাপতি সত্যব্রত রাউত বলেন, ওড়িশা পুলিশের ব্যবহারে ও সহযোগিতায় আমরা মুগ্ধ হয়েছি। বুলুকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে সামাজিক দায়িত্ব পালন করা হয়েছে।