ঝাড়গ্রাম

নাবালিকা শ্যালিকাকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার জামাইবাবু, উদ্ধার শ্যালিকা

স্বপ্নীল মজুমদার

নাবালিকা শ্যালিকাকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার জামাইবাবু, উদ্ধার শ্যালিকা
প্রতিকী ছবি

নাবালিকা শ্যালিকাকে ফুঁসলিয়ে অপহরণের অভিযুক্ত জামাইবাবুকে উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করল ঝাড়গ্রাম মহিলা থানার পুলিশ। দু’বছর ধরে ফেরার ছিল অভিযুক্ত। ধৃত বছর আঠাশের সত্যবান সিং যাদবের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর জেলার আল্লাগঞ্জের চৌরাসিয়া গ্রামে।

বৃহস্পতিবার ভোরে ঝাড়গ্রাম মহিলা থানার সাব ইন্সপেক্টর জ্যোতি সাউয়ের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শাহজাহানপুরের একটি বাড়িতে হানা দিয়ে সত্যবানকে গ্রেফতার করে। নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। শাহজাহানপুর আদালত থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে উত্তরপ্রদেশ থেকে ধৃত জামাইবাবু ও উদ্ধার হওয়া নাবালিকাকে নিয়ে শনিবার ঝাড়গ্রামে ফেরে পুলিশের দলটি। সত্যবানকে রবিবার ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে তাকে জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করায় পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা ওই নাবালিকার দিদির সঙ্গে সত্যবানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশে ফিরে যান সত্যবান। বিয়ের কয়েক মাস পর নববধূটি ঝাড়গ্রামে বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন। সত্যবানও করোনার লকডাউনের সময় ঝাড়গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকতে শুরু করেন।

ঝাড়গ্রামে থাকাকালীন নাবালিকা শ্যালিকার সঙ্গে ভাব জমান সত্যবান। এরপর ২০২১ সালের মার্চে নাবালিকা শ্যালিকাকে নিয়ে সত্যবান চম্পট দেন বলে অভিযোগ। নাবালিকার মা ঝাড়গ্রাম মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু দু’বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও সত্যাবান ও নাবালিকার হদিশ পায়নি পুলিশ।

অবশেষে বিশেষ সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পারে, সম্প্রতি শাহজাহানপুরে সত্যবানের বাড়িতেই রয়েছে ওই নাবালিকা। এরপর সেখানে হানা দিয়ে সত্যবানকে ধরা হয়। উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে। এদিন প্রিজনভ্যানে ওঠার সময় সত্যবান দাবি করেন, শ্যালিকাকে ভালবেসে বিয়ে করেছি।

আরও পড়ুন ::

Back to top button