প্রবল বৃষ্টিতে চিল্কিগড়ের কজওয়ে ছাপিয়ে ফুঁসছে ডুলুং নদী, বিচ্ছিন্ন জামবনি ব্লকের দুই প্রান্ত
স্বপ্নীল মজুমদার
পূর্ত দফতরের তরফে সমীক্ষা হলেও জামবনি ব্লকের চিল্কিগড়ে ডুলুং নদীতে সেতু তৈরির কোনও উদ্যোগ এখনও নেওয়া হয়নি। সোমবার থেকে শুরু হওয়া লাগাড়ে বৃষ্টিতে ফুঁসছে ডুলুং নদী। চিল্কিগড়ের কজওয়ে ছাপিয়ে বইছে প্রবল জলের স্রোত। ফলে জামবনি থানার সঙ্গে ব্লক সদর গিধনীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
রাজ্যে তৃণমূলের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ঝাড়গ্রাম জেলায় নয়াগ্রাম ও লালগড়ে দু’টি বড় সেতু তৈরি হওয়ায় দীর্ঘদিনের যোগাযোগ সমস্যা মিটেছে। নয়াগ্রামে সুবর্ণরেখায় কেশিয়াড়ির ভসরাঘাটের সঙ্গে সংযোগকারী জঙ্গলকন্যা সেতুটি হওয়ার ফলে নয়াগ্রামের সঙ্গে মেদিনীপুর ও খড়্গপুরের যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে। লালগড়ে কংসাবতীর উপরে সেতু হওয়ার ফলে ঝাড়গ্রাম থেকে লালগড়ের যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে, জেলাসদরের সঙ্গে লালগড়ের দূরত্বও অনেক কমে গিয়েছে।
অথচ জামবনির চিল্কিগড়ে ডুলুং নদীর উপর উঁচু সেতু এখনও হয়নি। কজওয়ে পেরিয়ে যানবাহন চলে। আপাত শান্ত ছোট্ট ডুলুং নদীটি কিন্তু ভারী বৃষ্টি হলেই ভয়াল রূপ নেয়। ৯০ মিটার লম্বা কজওয়ে ছাপিয়ে তখন প্রবল স্রোতে জল বইতে থাকলে ব্লক সদর গিধনির সঙ্গে জামবনি থানার বিস্তীর্ণ অংশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ডুলুংয়ের পূর্ব প্রান্তে রয়েছে জামবনি থানা এবং ৩৫ টি গ্রাম। পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে ৭৫টি গ্রাম, চিল্কিগড় গ্রামীণ হাসপাতাল এবং গিধনিতে রয়েছে জামবনির বিডিও অফিস। ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতর, স্কুল, ব্যাঙ্ক সবই পশ্চিম প্রান্তে। অথচ চিল্কিগড়ে ডুলুং নদীর উপরে সেতুর দাবিটি আজও উপেক্ষিত। হড়পা বাণের সময়ে কজওয়ে পেরোতে গিয়ে বহু দুর্ঘটনা ও প্রাণহানিও ঘটেছে।