ঝাড়গ্রাম

নদীতে ডুবে হাতি শাবকের মৃত্যু, মৃত শাবক দেখতে আসা জনতাকে তাড়া করে দুই বৃদ্ধকে মারল মা হাতি

স্বপ্নীল মজুমদার

নদীতে ডুবে হাতি শাবকের মৃত্যু, মৃত শাবক দেখতে আসা জনতাকে তাড়া করে দুই বৃদ্ধকে মারল মা হাতি

হাতির দল সুবর্ণরেখা নদী পার হওয়ার সময় ডুবে মৃত্যু হল একটি হাতি শাবকের। সেই ঘটনা দেখতে হাজির হয়েছিল কয়েকশো উৎসাহী জনতা। ক্ষিপ্ত মা হাতি পিছু ধাওয়া করে দুই বৃদ্ধ গ্রামবাসীকে আছড়ে পিষে দেওয়ায় তাদের মৃত্যু হল। বুধবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম থানার দেউলবাড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে নয়াগ্রাম থানার দেউলবাড় গ্রামের আনন্দ জানা (৭৩) ও বিরিবেড়িয়া গ্রামের শশধর মাহাতোর (৬০)।

ঝাড়গ্রাম জেলা হলেও ওই এলাকাটি খড়্গপুর বন বিভাগের অন্তর্গত। এদিন সাঁকরাইলের কোদোপালের দিক থেকে সুবর্ণরেখা পেরিয়ে ১৫টি হাতির দল নয়াগ্রামের চাঁদাবিলা রেঞ্জ এলাকায় এসে পৌঁছয়। কিন্তু শাবক ডুবে যাওয়ায় মা হাতিটি পিছনে থেকে যায়। পরে শাবকটিকে জল থেকে টেনে এনে দেউলবাড় গ্রামের নদীঘাটে তোলে মা হাতিটি। ততক্ষণে শাবকটির মৃত্যু হয়েছে।

এরপর শাবকটিকে ধান জমিতে টেনে নিয়ে গিয়ে মা হাতি আর্তনাদ শুরু করে। বার বার শুড়ে শাবকটিকে ঠেলে তোলার চেষ্টা করে হাতিটি। এমন ঘটনা দেখতে সাতসকালে কয়েকশো লোকজন হাজির হয়ে যায়। বন দফতর ও হুলাপার্টির লোকজন বারবার লোকজনকে সরে যেতে বলে।

কিন্তু অতি উৎসাহী লোকজন হাতিটিকে দেখার জন্য ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। এরপরই বিপত্তি ঘটে। মা হাতিটি ক্ষিপ্ত হয়ে লোকজনকে তাড়া করে। দুই বৃদ্ধ আনন্দ ও শশধর ছুটে পালাতে পারেননি। হাতিটি তাদের শুঁড়ে পেচিয়ে পা দিয়ে পিষে ছিন্ন ভিন্ন করে দেয়। ঘটনাস্থলেই দুই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন খড়্গপুরের ডিএফও শিবানন্দ রাম। তিনি জানান, হাতির দলটি তপোবনের জঙ্গলের দিকে গিয়েছে। হুলাপার্টি দিয়ে মা হাতিটিকে সেদিকে দলের সঙ্গে মেশানোর জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। মৃত শাবকটিকে চাঁদাবিলা ডিপোয় নিয়ে গিয়ে ময়নাতদনএতর পর দেহটি পোড়ানোর কাজ শুরু করেন বনকর্মীরা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button