প্রযুক্তি

বিজ্ঞান যেখানে হার মানিয়েছে কল্পকাহিনীকে

বিজ্ঞান যেখানে হার মানিয়েছে কল্পকাহিনীকে

প্রতিটা দিন একটু একটু করে পৃথিবীর সব আঁধার রহস্যকে একটু একটু করে আলোকিত করার চেষ্টা করে চলেছেন অত্যন্ত পরিশ্রমী আর প্রখর মস্তিষ্কের অধিকারী বিজ্ঞানীরা। আর সেটা করতে গিয়েই কিছু অদ্ভূত ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন তারা। জেনে হোক কিংবা না জেনে, বিজ্ঞানের মাধ্যমে মুখোমুখি হওয়া এসব ঘটনায় তারা বিস্মিত হয়েছেন। বিস্মিত হয়েছে পৃথিবীও। অনেকটাই যেন কল্পকাহিনীর গল্প বিজ্ঞানীদের এই অভিজ্ঞতাগুলো। চলুন জেনে আসি এমনই কিছু বৈজ্ঞানিক মজার ঘটনাকে যেগুলো কল্পকাহিনীতে মানালেও ঘটে গিয়েছে বাস্তবে।

১. মৃত্যুর পরের জীবন
সম্প্রতি এক অপারেশন টেবিলে যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা খুঁজে পান অদ্ভূত একটি বিষয়। আর সেটি হচ্ছে এই যে, মানুষের মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দিলেও তার শরীরে সচেতনতা থাকে। আর এই তথ্যকে কেন্দ্র করেই মৃত্যুর পরের জীবনকে ব্যাখ্যা করার আর সেটা আসলেও আছে কিনা তা ভাবার চেষ্টা করছেন সবাই। এই মৃত্যুকে দেখে আসা মানুষদের ভেতরে বেঁচে ফেরা অনেকের সাথে কথা বলেছেন তারা। আর জেনেছেন যে, হৃদপিন্ড বন্ধ হয়ে পুরো শরীর নিথর হয়ে গেলেও তারা সবটা দেখতে পাচ্ছিলেন। তবে শরীরের চাইতে খনিকটা দূরে চলে গিয়েছিলেন তারা। পরবর্তীতে অবশ্য ফিরে আসতে হয়েছে তাদের শরীরের কাছে। ফলে বেঁচে গিয়েছেন তারা। কে জানে, বাকীদের হয়তো আর ফিরে আসা হয় না সেই শরীরহীন অবস্থা থেকে!

২. টেলিপ্যাথি যন্ত্র
কোনরকম মৌখিক কথা-বার্তা ছাড়াই অন্য একজন মানুষের কাছে অনেকটা দূর থেকে কথা পৌঁছে দেওয়াকে টেলিপ্যাথি বলে। এই যেমন- আপনার এখন চা খেতে ইচ্ছে হল আর সাথে সাথে দূরে আপনার বাসার কাজের মানুষটি বুঝতে পারল যে আপনি চা খাবেন। অনেকটাই বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লাগছে তো? অথচ, এই কাল্পনিক ব্যাপারটিই বাস্তবে করার চেষ্টা করেন ২০১৪ সালে আমেরিকার কিছু বিজ্ঞানী। ফ্রান্স আর ভারতের দুজন মানুষকে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে কোনরকম কার্যক্রম ছাড়াই কথা- আদান-প্রদানের সুযোগ করে দেন তারা। এখনো পর্যন্ত পুরোপুরি পরিষ্কারভাবে বার্তা পোঁছাতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে চেষ্টার ত্রুটি চলছেনা। আজকে না হোক, কাল হয়তো সত্যিই টেলিপ্যাথিতে কথা বলতে পারবো আমরা সবাই!

৩. শরীরভরা মাদকদ্রব্য
২০১৫ সালের কথা। নিউ ইয়র্কে এক তরুণীকে গাড়ি চালানোবস্থায় আটকায় পুলিশ। তার কথা-বার্তা অসংলগ্ন ছিল। মুখে ছিল মদের গন্ধ। মাতাল সন্দেহে তরুণীর রক্ত পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায়, আন্দাজটা ভুল ছিল না। আসলেও তরুণীর শরীরে এ্যালকোহল রয়েছে। কিন্তু তারপরেও পুলিশ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় তরুণীকে। কেন? কেন আবার! অদ্ভূত অসুখ অটো ব্রিউয়ারির কারণে। এই রোগের রোগীদের শরীরে প্রাকৃতিক উপায়েই এ্যালকোহল তৈরি হয়। বিশেষ করে, রুটি বা কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করলে মাদকের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে মদ না পান করেই মাতাল হয়ে পড়েন তারা। কখনো কখনো হ্যাংওভার কাজ করে। কী? আজগুবী কথা বলছি এই বলবেন তো? উঁহু। এটাও কিন্তু বিজ্ঞান!

লিখেছেন- সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

আরও পড়ুন ::

Back to top button