বড়সড় রদবদল হতে চলেছে বঙ্গ বিজেপিতে, জায়গা পেতে পারেন দুই দাপুটে সংঘ ঘনিষ্ঠ নেতা !
ওয়েবডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ১৮ টি লোকসভা আসন ছিনিয়ে নেওয়ার পর থেকেই গেরুয়া ব্রিগেডের লক্ষ্য একুশের নির্বাচনে বাংলার মসনদ দখল করা। আর সেই লক্ষ্যে একদিকে যেমন বিরোধী দলে ভাঙন ধরানো শুরু হয়েছে, তেমনই জোর দেওয়া হয়েছে সংগঠন মজবুত করতে। লোকসভা নির্বাচনে তুমুল সাফল্য দেওয়ায় দ্বিতীয়বারের জন্য রাজ্য সভাপতি পদ সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দিলীপ ঘোষকে।
এরপর করোনা আবহে কার্যত থমকে ছিল রাজনৈতিক কার্যকলাপ। কিন্তু, এই কঠিন সময়েও তৃণমূল রাজনীতি করছে অভিযোগে আর ঘরে বসে থাকতে রাজি ছিলেন না দিলীপ ঘোষ।
আর এরপরেই বিজেপির থমকে থাকা নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করে দেন তিনি। বিজেপির সেই কমিটি দেখে চমকে গেছেন অনেকেই। কেননা, সেই কমিটিতে দলের সব শীর্ষ নেতাদের প্রত্যাশিত নেতাদের যেমন পদ দেওয়া হয়েছে তেমনই আদি ও নব্যর সংমিশ্রণ করা হয়েছে সুন্দরভাবে।
আর এই কমিটি দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত, এবার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য অল আউট অ্যাট্যাকে যাবে বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু, বিজেপিতে সঙ্ঘ সব সময়েই বড় ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
এই অবস্থায় মনে করা হচ্ছে নতুন এই কমিটিকে আরও শক্তপোক্ত করতে খুব শীঘ্রই সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ ২ নেতাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ২ পদে নিয়ে আসা হতে চলেছে। কেননা আগামী দিনে দলের সঙ্গে সঙ্ঘের সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে।
এই দুই নেতার মধ্যে একজন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত কাছের। তিনি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী, তখন থেকেই তাঁর সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন এই নেতা।
এই নেতার উপর মূলত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, সঙ্ঘ ও রাজ্য নেতৃত্ব – এই ত্রিমুখী ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব পড়তে চলেছে। অপর নেতা, ইতিমধ্যেই রাজ্য কমিটিতে আছেন – কিন্তু তাঁকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদে তুলে আনা হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
এই সঙ্ঘ নেতা কার্যত অন্যতম সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর মত গুরুত্বপূর্ণ পদে বসবেন এবং সঙ্ঘের আদর্শমত যাতে রাজ্যের সংগঠন চলে – সেই দিকটি লক্ষ্য রাখবেন।
এই নিয়ে এখনও সরকারি ঘোষণা হওয়া বাকি থাকলেও, গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে – এই দুই নেতার ব্যাপারে সবুজ সংকেত এসেছে খোদ নাগপুর থেকে। এমনকি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিলমোহরও নাকি পড়ে গেছে – ঘোষণা নাকি শুধু সময়ের অপেক্ষা।