কলকাতা

‘প্রধানমন্ত্রী ১০০০ কোটি দিলেও একবার তাঁকে ধন্যবাদ জানায়নি: দিলীপ ঘোষ

'প্রধানমন্ত্রী ১০০০ কোটি দিলেও একবার তাঁকে ধন্যবাদ জানায়নি: দিলীপ ঘোষ

 

ওয়েবডেস্ক : করোনা ও আমফান দুদিক থেকে ধাক্কা খেয়েছে বাংলা। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরো ব্যর্থ রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ জনসম্পর্ক ভারচুয়াল সভায় রাজ্য সরকারকে বিপর্যয় মোকাবিলায় তোপ দাগলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

রেশন নিয়েও একহাত নিলেন রাজ্য সরকারকে। বললেন, ‘এখানকার রেশন ব্যবস্থা পুরো ভেঙে পড়েছে। বাংলার সরকার মানুষকে পরিষেবা দিতে পুরো ব্যর্থ হয়েছে।’

করোনা নিয়েও শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন দিলীপবাবু। তিনি বলেছেন, ‘করোনা যোদ্ধাদের সুরক্ষা দিতে পারছে না রাজ্য। রাজনীতি করতে গিয়ে রাজ্যের মানুষের ক্ষতি করছে তৃণমূল।’

প্রসঙ্গত, এই ভারচুয়াল সভার প্রচারে গত কয়েকদিন ধরে চেষ্টার অবশ্য খামতি রাখেনি বঙ্গ বিজেপির নেতা-কর্মীরা। দিলীপ ঘোষ স্লোগান তুলেছিলেন, ‘ফোনে ফোনে অমিত শাহ’।

আর পাঁচটা সাধারণ জনসভার মতোই রাজ্যজুড়ে ফ্লেক্স, পোস্টার, ব্যানার থেকে দেওয়াল লিখনও হয়েছে ভারচুয়াল সভার সমর্থনে। বঙ্গ বিজেপির ফেসবুক পেজ, ইউটিউব থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার সমস্ত মাধ্যমেই সভা দেখতে ও শুনতে পাওয়া যায় এদিন।

সামাজিক দুরত্ব মেনে চায়ের দোকানে, বাড়িতে বসে, পাড়ার মোড়ের আড্ডায় নিজের ফোনে দেখুন অমিত শাহ সরাসরি। এমনটাই প্রচারে বলেছেন বিজেপি নেতারা।

প্রতিটি পরিবার যাতে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষণ শোনে সেজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট দিয়ে অনুরোধ জানিয়ে এসেছেন গেরুয়া কর্মীরা। কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী মহল

, ছাত্র, যুব, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, আদিবাসী সমাজ- প্রত্যেককে যুক্ত করা হয় এই সভায়। স্মার্টফোন নিয়ে কোন লিংকে দেখতে হবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেটা বোঝাতেও কসুর রাখেননি বিজেপি কর্মীরা।

এদিন ভারচুয়াল সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্য শুরু আগে বক্তব্য রাখেন দিলীপ ঘোষ। তিনি ঘূর্ণিঝড় আমফানের ক্ষয়ক্ষতি নিয়েও রাজ্যকে তোপ দাগেন।

বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এসে হাজার কোটি টাকা দিলেও একবার তাঁকে ধন্যবাদও দেয়নি।’ উল্লেখ্য, সোমবার রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি মন্তব্য করেন, আমফানে সুন্দরবনে যে বিপর্যয় হয়েছে তা ‘ম্যানমেড’।

দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, এর আগে কেন্দ্রের দেওয়া অর্থে সুন্দরবন এলাকার কাঁচা বাড়িকে পাকা করা হয়নি। কংক্রিটের বাঁধ তৈরি হয়নি। ইচ্ছে করেই এসব কাজ করা হয়নি।

যাতে বছর বছর ক্ষতির খতিয়ান দেখিয়ে টাকা পাওয়া যায়। আর সেই টাকা থেকে কাটমানি আসে। এর মধ্যে দিয়ে শাসকদল ‘ডবল ইনকাম’-এর চেষ্টা করে। এমন কুরুচিকর ভাষাতেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে বিদ্ধ করেছেন।

সুত্র: সংবাদ প্রতিদিন

আরও পড়ুন ::

Back to top button